আজ সোমবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ৪ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সারিয়াকান্দিতে পানির অভাবে মাছ চাষ ব্যাহত

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

মাইনুল হাসান মজনু:

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা অববাহিকায় ঢলের পানিতে টইটুম্বুর হলেও প্রায় অর্ধেক অংশে পানির আকাল দেখা দিয়েছে। অর্ধেক অংশে পানি না থাকায় নদী-নালা খাল বিল পুকুর গুলোতে পানির অভাবে মাছ চাষ ব্যাহত হচ্ছে। মাস দুয়েক আগে পোনা মাছ ছেড়ে দিলেও পুকুরে বৃষ্টির পানির অভাবে মাছ বড় না হওয়ায় চাষিরা হতাশায় পড়েছেন। পানির অভাব কাটিয়ে উঠতে মাছ চাষিরা পুকুরে সেচ পাম্প বসিয়ে পানি সরবরাহ করছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সারিয়াকান্দির কাজলা, হাটশেরপুরের কিছু অংশ চালুয়াবাড়ি, কর্নীবাড়ি, কামালপুর, বোহাইল, চন্দনবাইশা ও কুতুবপুর ইউনিয়নের কিছু অংশ পানিতে টইটুম্বুর হয়েছে। উপচে পড়ছে নদীর চারদিকে ঢলের পানি। এ পানি চরাঞ্চলের লোকদের কাছে এ মুহূর্তে দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ফুলবাড়ি, নারচী, ভেলাবাড়ি, কুতুবপুরর ও সদর ইউনিয়নের অনেক এলাকাতেই পানির জন্য হাহাকার চলছে। এসব অঞ্চলের নদী নালা খাল বিল ও পুকুর গুলোতে পানির অভােব দেখা দেওয়াই চাষিরা অনেক পুকুরে এখনও মাছ চাষ শুরু করতে পারেননি। আবার কোনও কোনও পুকুর মালিক পোণা মাছ ছেড়ে দিয়েও পানির অভাবে তা বেড়ে উঠতে পারছে না। মাছ বেড়ে না উঠায় এ অঞ্চলের মৎস্য চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। তারা বলছেন বৃষ্টির পানি না হলে খাল বিল পুকুরে পানি আসবে কোথা থেকে। ভেলাবাড়ি ইউণিয়নের ছাইহাটা গ্রামের সফিকুল ইসলাম বলেন, তিন বিঘা জমির পুকুরে পোনা মাছ ছেড়েছি, ২/৩ ইঞ্চির চেয়ে বেশি মাছ বড় হয়নি। পুকুরে সেচ পাম্প আছে কিন্তু ভরা বর্ষার মৌসুম হওয়াই আকাশের দিকে চেয়ে আছি। কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কুতুবপুর গ্রামের শাহিন আলম বলেন, দুই বিঘা জমির পুকুরে পানির অভাবে এখনো মাছ ছাড়তে পারিনি। এবার মাছ চাষ করা নিয়ে আমি শঙ্কায় রয়েছি। ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হয় আমরা হতাশায় পড়েছি। নারচী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, খরচ বেশি হলেও পুকুর পাড়ে সেচ পাপ্প বসিয়ে পুকুর সেচ দিচ্ছি। বিদ্যুতের বিল কৃষি সেচ বিলের মতন হলে খরচ কম পরতো। তাহলে আমাদের সুবিধে হতো। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পাঁচ হাজারের বেশি পুকুর আছে। এর মধ্যেও ৩ হাজার ৫০০ পুকুর রয়েছে বাঁধের পশ্চিম পাড়ে। এছাড়াও বাঙালি, সুখদহ ও কয়েকটি খাল আছে এ ধারে। এসব খাল বিলে পানি কম থাকলেও যে পরিমাণ পানি আছে সেখানে প্রাকৃতিকভাবে ছোট মাছ বেড়ে উঠছে। বাঁধের পশ্চিম ধারের চাষিরা মাছ চাষের ধরন পাল্টিয়েছে। তারা অল্প সময়ে মধ্যে পুকুর গুলোতে মাছের ভালো ফলন পেতে বড়, বড় মাছের পরিবর্তে গলদা চিংড়ি পাবদা, কৈ, বাটা, তেলাপিয়া মাছসহ বিভিন্ন ছোট প্রজাতির মাছ চাষ করছেন। এখান থেকে ৩৫০ মেট্রিক টন মাস উৎপাদন হবে বলা আশা করা যাচ্ছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ বলেন, মাছ উৎপাদন কম হবে না । তবে যদি কৃষি ভর্তুকির মত মাছ চাষে বিদ্যুৎ বিল করা হয়। তবে মাছ চাষিরা আরো কম খরচে মাছ উৎপাদন করতে পারবেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ জুলাই ২৩/এসবি

- Advertisement -
- Advertisement -