রানা ইস্কান্দার রহমান:
নারী উদ্যোক্তাদের পরিচিতি বাড়াতে গাইবান্ধা পৌরপার্কে একদিনব্যাপী পিঠা উৎসব পালিত হয়েছে।” এসো সবাই মিলে পিঠা খাই, আনন্দ উৎসবে মন রাঙ্গাই ” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে লক্ষ্য রেখে জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি ( নাসিব) গাইবান্ধা জেলা শাখার আয়োজনে গাইবান্ধা পৌরপার্কে গত শনিবার সকাল থেকে পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯টা অবধি চলে এই মেলা। মেলায় এস ডট কম,প্রসুন ফুড এন্ড ক্রাফটিং, মৌ কেক এন্ড ক্রাফ,আঞ্জুস কিচেন, অফফুট কর্নার, সহ ২০ টি স্থান পায়। মেলার উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকছুদার রহমান শাহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি তৌহিদুর রহমান মিলন,জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি ( নাসিব) গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো: আমজাদ হোসেন। ঘরোয়া স্বাদ উদ্যোক্তা তাসমিরা ইসলাম বলেন- এই মেলা অনেকটা উপকার। আমরা যারা ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করি, আমাদের নিজেদের পরিচিত বাড়াতে এই মেলার দরকার। এসব মেলা ঘন ঘন হলে ভাল হয়। মেলা আরও দুইদিন হলে ভাল হত। অফফুট কর্নার উদ্যোক্তা মোছা: জাহানারা বেগম বলেন- আমাদের বাচ্চাকাচ্চা স্কুলে যায়। তখন সময় হয়না। তখন সময় কাটাতে বাসায় বিভিন্ন কিছু বানাতে হয়। এতে সময় কাটে এবং ঘরে বসে ইনকাম হয়৷ নিজে ইনকাম করতে ভালই লাগে। স্মরন সাহা নামের এক ভোক্তা জানান- পিঠা উৎসব গ্রাম বাংলার একটি চিরাচরিত উৎসব। পিঠা খেতে ভালই লাগে। অনেক প্রকার পিঠা রয়েছে যা বাসায় খাওয়া হয়না। এসব পিঠার স্থান পেয়েছে মেলায়। জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি ( নাসিব) গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো: আমজাদ হোসেন বলেন- আমাদের সব থেকে বড় একটি অংশ হলো নারী উদ্যোক্তা। তারা হাতের কাজের পাশাপাশি কেক, পিঠা, পুলি তৈরি করে থাকেন৷ নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসার পরিচিতি ও প্রসার বাড়াতে এই মেলার আয়োজন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৫ ডিসেম্বর ২৩/মওম
- Advertisement -