:: আলোকিত ডেস্ক ::
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের আইসিইউ পর্যন্ত যাওয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুস্থ হয়ে সরকারি কাজে যোগ দিয়েছেন। সোমবার কাজে যোগ দিয়েই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এসময় করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের ঝুঁকির কথা তুলে ধরে তিনি সতর্ক করে বলেন, এমনটি হলে শুধু যে আরেক দফা মৃত্যুর মিছিল শুরু তাই নয়, তা হবে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ও। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।
মার্চের শেষের দিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এক সপ্তাহের বেশি সময় বাড়িতে চিকিৎসা নেওয়ার পর ৫ এপ্রিল (রবিবার) লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে ভর্তি হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পরিস্থিতির অবনতি হলে পরদিন সন্ধ্যায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। গত ৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। ১২ এপ্রিল (রবিবার) হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। হাসপাতাল ছাড়ার পর থেকে বাড়িতেই বিশ্রাম করছিলেন জনসন।
লকডাউন প্রত্যাহারের বিষয়ে জনসন বলেন, আমি আপনাদের ধৈর্য্য হারানোর বিষয়টি বুঝতে পারছি, আপনাদের মতো আমিও উৎকণ্ঠিত। আপনাদের তাড়াজুড়োর বিষয়টিও বুঝতে পারছি। সরকারও চাইছে দ্রুত। কিন্তু তবু আমাদের দ্বিতীয়বার ভাইরাসের সংক্রমণের কথা বিবেচনা করতে হবে। ভাইরাস যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় এবং পুনরুৎপাদন একের বেশিতে চলে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এমনটি হলে শুধু মৃত্যুর মিছিল ও রোগ আসবে তা নয়, তা হবে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ও। এটি সর্বোচ্চ ঝুঁকির সময়।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, কখন ও কীভাবে লকডাউন শিথিল করা হবে তা সম্পর্কে সরকার খুব সহজে কিছু বলতে পারছে না। তবে যুক্তরাজ্য ভাইরাস সংক্রমণের চূড়ান্ত পর্যায় অতিক্রম করছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা কমছে। লকডাউনে অর্থনীতি দুর্বল হওয়ার আশঙ্কায় থাকা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে জনসন বলেন, আমরা খুব সহজে বলতে পারছি না কত দ্রুত বা কত ধীর গতিতে এই পরিবর্তন আসবে।
জনসনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব জানান, আগামী কিছুদিনের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধিনিষেধ জারি থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, সোমবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ৭৯৫ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৮০ জন।