কবি সাফিয়া খন্দকার রেখার দুইটি কবিতা

0
1181

আঙুলের চঞ্চলতা
:::::::::::::::::::
ঐখানে থেমে যায় নিমগ্ন আঙুলের চঞ্চলতা
কেঁপে ওঠে সমবেত শোক,
মুখোশের আড়ালের চোখগুলো অবিকল সত্যের মতো।
অনিন্দ্য সুন্দর শিল্পের সংসার
পঙক্তিরা ফোঁটে সদ্যোজাত শিউলি যেনো।
অদ্ভুত আগন্তুক নিঃশব্দ পায়ে হেঁটে
ঢুকে যায় নিঃশ্বাসের ভেতর
বাঁচতে হলে তার চাই ফ্রেশ অক্সিজেন।
প্রমত্ত শব্দরা নিয়ে নেয় শূন্যতার ভার ক্ষমতারও অধিক
শব্দহীন শব্দের আলিঙ্গনে।

প্রাগৈতিহাসিক শব্দের কণাগুলো ঠোঁট স্পর্শ করে বলে ওঠে
স্বপ্নরা বিপন্ন হলে কাঁদতে নেই।
অন্তর্গত সময় সাক্ষী
আমাদের সেইসব দিনরাত্রি ক্রমাগত হেঁটেই চলছে হৃদপিণ্ডের গভীর স্পর্শে
জীবন দিয়ে মৃত্যুকে ঢেকে রাখা সেই হৃদপিণ্ডের দিকেই।
বিচ্ছিন্ন হয়েও কতটা কাছে থাকা যায়
আশ্চর্য এ পরিসংখ্যান যেদিন জানবে
সেদিন কেবল অক্ষরের ভগ্নাংশ জোড়াতালি দিতেই সময় কেটে যাবে।

তৃতীয় চোখ
:::::::::::::::::::
বাতাসের বিষন্নতায়
খসে পড়ে ভেতর মহলে নীল নীল মৃত দেহ,
ধবল ধুলোর মত শব্দের ভাঙনে
অনায়াসে নদী ভাঙে
কেবল জেগে থাকে যুগলসন্দি আর চৈত্রের বোবা মেঘ।

ভ্রমণ চিহ্ন রেখে যাওয়া ঘাসের দ্বিতীয় জন্মে
ভেঙে ফেলে নষ্ট খোলস
ছলছল তৃষ্ণায় কেঁপে ওঠে যদি ঠোঁট,
একলা মানুষ তবে তুমি ফের জন্ম নিও প্রেমিক হয়ে।
ঈশ্বরের অবস্থানের ভেতরে
যে তোমার জন্ম সেই তুমি
কেন ভেঙে ফেলো আত্মার আয়না!

খোল তৃতীয় চোখ আত্মহৃদপিণ্ড,
নগ্ন বাজ পাখির মগ্ন থাবায়
পড়ে থাকে কুকুরের সঙ্গম,
ক্লেদ ভর্তি শরীরের কসরৎ
ডাস্টবিনের পঁচা ভাতের গন্ধের মতো,
জঠরের মতো নিরাপদ প্রেমিক হয়ে
ফের পৃথিবীতে এসো
তুমিও ঈশ্বরের মতো অমরত্ব পাবে ভালোবাসায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here