ফুলবাড়ীতে কাচা রাস্তার বেহালদশায়, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

0
569

সংবাদদাতা,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের উত্তর বড়ভিটা- নওদাবস-খড়িবাড়ি সংলগ্ন প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা রাস্তার বেহালদশা। প্রতিবছর বর্ষায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় এ রাস্তাদিয়ে যাতায়াতকারীদের। রাস্তাটি কাঁচা হলেও অত্র এলাকার মানুষের জীবন জীবিকায় যথেষ্ট গুরুত্ববহন করে। রাস্তাটির আশপাশের প্রায় পনের হাজার মানুষকে চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, পরিবহন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে পুরোপুরি নির্ভর করতে হয় এ রাস্তার উপড়। চলাচলে চরম ভোগান্তি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করতে হয়- শাহ বাজার উচ্চ বিদ্যালয়, শিবের বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহ বাজার আবুল হোসেন সিনিয়র(ডিগ্রী) মাদ্রাসা, বড়ভিটা উচ্চ বিদ্যালয়, বড়ভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হরির হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাইফুর রহমান সরকারী মহাবিদ্যালয়, পূর্বচন্দ্রখানা উচ্চ বিদ্যালয়, পূর্বচন্দ্রখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর বড়ভিটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাবাইতারী এসবি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, খড়িবাড়ি ছবিরননেছা দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসা, সল্লিধরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম নওদাবশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নওদাবশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব জকার হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের। এ রাস্তাদিয়ে যাতায়ত করতে হয় পূর্বচন্দ্রখানা কমিউনিটি ক্লিনিক ও বড়ভিটা কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা গর্ভবতী মা ও শিশুদের। রাস্তার বেহালদশায় সকল প্রকার যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় বর্তমানে তাদেরকে পায়ে হেটেই ক্লিনিকে যেতে হয়। গুরুতর অসুস্থ্য রোগীকে হাসপাতালে নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় অনেককেই। তাছাড়া উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রয় ও দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে অত্র এলাকাবাসীকে এ রাস্তা দিয়েই পার্শ্ববর্তী শাহ বাজার, বড়ভিটা বাজার, আমতলা বাজার, খড়িবাড়ি বাজার ও উপজেলা সদরে যেতে হয়। বর্ষার শুরুতেই ভারীবর্ষণে বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এলাকাবাসী বিনোদ চন্দ্র, আবু সায়েদ, শিরিশ চন্দ্র, মজিবর রহমান, দেওয়ান মিয়া, রাজকান্ত সরকার, আলেফ উদ্দিন, আজিত ব্যাপারী ও সফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতি বছর বর্ষায় এ রাস্তাটির কারণে চরম ভোগান্তির শিকার হই। বর্তমানে রাস্তাটি চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। থমকে গেছে আমাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন। আমরা রাস্তাটি পাকাকরণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। রাস্তাটির এমন বেহালদশার সত্যতা স্বীকার করে বড়ভিটা ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান খয়বর আলী মিয়া বলেন, আমি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি। রাস্তাটির বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত বলেন, বরাদ্দ আসলে রাস্তাটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১৭ জুলাই’২০/এসএএইচ

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here