আবু সায়েম, কক্সবাজারঃ কক্সবাজার সদর মডেল থানার পশ্চিম পার্শ্বে সড়কে পুলিশের সহায়তায় সন্তান প্রসব করেছে এক পাগলী নারী। আজ মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে সদর মডেল থানার পশ্চিম পার্শ্বে সড়কে প্রসব ব্যাথার খবর পেয়ে সন্তান প্রসবের যাবতীয় সরঞ্জাম এবং মহিলাদের সহযোগিতায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার ডিউটি অফিসার এসআই আনছারুল হক সুজনের নেতৃত্বে অবশেষে পাগলীটি একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৫-২৮ বছরের একজন পাগলী নারী সন্তান সম্ভাব্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। বিষয়টি এসআই আনছারুল হক সুজনকে জানালে তিনি তারঁ সঙ্গীয় ফোর্সসহ গিয়ে সন্তান প্রসবের যাবতীয় সরঞ্জাম এবং মহিলাদের সহযোগিতায় সন্তান প্রসব করার কার্যক্রম সম্পাদন করে সন্তান প্রসব হওয়ার সাথে সাথে পুলিশ সদস্য চন্দন আর্চায্য সৈকত নিজ হাতে বাচ্চাটি তুলে নেন। পরে বিষয়টি কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মোহাঃ খায়রুজ্জামান কে অবগত করলে তিনি দ্রুত মা ও নবজাতককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এসআই আনছারুল হক সুজন জানান, মা ও নবজাতকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি খায়রুজ্জামান স্যার মহিলা এবং বাচ্চার যাবতীয় চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পাদন সহ সুস্থ করার জন্য যাবতীয় খরচ বহন করার জন্য নির্দেশ দেন। তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ পুলিশ আত্নমানবতার সেবায় সব সময় নিয়োজিত। দেশের চরম ক্রান্তিলগ্ন এবং দুঃসময়ে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ায়। মানুষকে প্রত্যক্ষ সেবা এবং মানবসেবা প্রদানে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর। প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি জানান,পাগলী নারী সন্তান প্রসব নিয়ে খুবই যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। আশে পাশের মানুষ কেউ এগিয়ে আসে নি,কিন্তু পুলিশ এগিয়ে এসে সন্তান প্রসব পর্যন্ত কার্যক্রম সম্পাদন করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের এসকল গর্বিত সদস্যদের নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি।
আলোকিত প্রতিদিন/১৮ আগস্ট’২০/এসএএইচ