ফুলবাড়ীতে ক্ষেতের পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার

0
439
মোস্তাফিজার রহমান (জাহাঙ্গীর), ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ধানক্ষেতের পোকামাকড় দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে দিনে দিনে বাড়ছে পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার। বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে একেবারে ব্যয়হীন এ পদ্ধতিতে ঝুঁকে পড়েছেন অধিকাংশ কৃষক।
পোকাদমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারকারী কৃষক রোস্তম আলী, জাহাঙ্গীর আলম, বাদল সরকার, শাহজাহান আলী ও মকছেদুল হক বলেন- পার্চিং একটি জৈবিক দমন ব্যবস্থা। ফসলের জমিতে বাঁশের আগা, কঞ্চি, গাছের ডাল পুঁতে দিলে এতে পাখি বসে ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকার মথ, বাচ্চা, ডিম খেয়ে ফেলে। ফসলের ক্ষেতে পাখি বসার ব্যবস্থা করে পোকা দমনের এ পদ্ধতিকেই পার্চিং পদ্ধতি বলে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে আমরা বিষমুক্ত, নিরাপদ ফসল উৎপাদন করছি। একেবারে বিনা খরচে এ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে আমাদের ফসলে আর কোনো কীটনাশক দিতে হচ্ছে না। ফলে আমরা কম খরচেই ফসল ফলাতে পারছি। নিরাপদ ফসল উৎপানে এমন কার্যকরী পদ্ধতি ব্যবহারে তাদের উৎসাহিত করায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানান তারা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সাবাব ফারহান জানান- উপজেলার কৃষকদের মাঝে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে ক্রমশই আগ্রহ বাড়ছে। চলতি আমন মৌসুমে ১১ হাজার ৪২৬ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।ইতিমধ্যেই ১১ হাজার ২০০হেক্টর জমিতে চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। ৯ হাজার হেক্টর আমন ক্ষেতে পার্চিং বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সম্পা আক্তার জানান- প্রতি মৌসুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ক্ষেতে লাইন, লোগো ও পার্চিং পদ্ধতি বাস্তবায়নে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায়  অত্র উপজেলায় এবারও লক্ষ্যমাত্রানুযায়ী লাইন, লোগো ও পার্চিং পদ্ধতির বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশীদ জানান- ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকা বিশেষ করে মাজরা দমনে পার্চিং একটি কার্যকর পদ্ধতি। এটি একটি পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি। বিনা খরচের এ পদ্ধতি ব্যবহারে ফসল উৎপাদন ব্যয় কম হয়। ধানের ফলনও বেশি হয়। পরিবেশ বান্ধব এ পদ্ধতি গ্রহনে এখনও অনেক কৃষক অনাগ্রহ প্রকাশ করে। তবে আমরা পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করার কার্যক্রম চলমান রেখেছি।
আলোকিত প্রতিদিন/২৫ আগস্ট-২০২০/জেডএন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here