কাঁধে ব্যথা ও ফ্রোজেন শোল্ডার : সতর্কতা ও সমাধান । ডা: মোহাম্মদ আহাদ হোসেন

0
1049

কাঁধে ব্যথা ও ফ্রোজেন শোল্ডার : সতর্কতা ও সমাধান
ডা: মোহাম্মদ আহাদ হোসেন

কাঁধ বা শোল্ডার আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ। আমাদের সকল কাজের জন্য হাতের সাহায্য নিয়ে থাকি। হাত নাড়াচাড়ার সাথে কাঁধের নাড়াচাড়া খুবই স্বাভাবিক। এজন্য কাধের কোনো সমস্যা বা ব্যথা হলে তা থেকে হাতের মুভমেন্ট বাধা গ্রস্থ হয়। আর গঠনগতভাবে কাঁধ ইনজুরি বা আঘাতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কাঁধে ব্যথা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানে প্রতি হাজার মানুষের মধ্যে ১৫ জন প্রতি বছর কাঁধে ব্যথার সমস্যায় ভূগে থাকেন।  একটু অসাবধানতা থেকেই কাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। কীভাবে কাঁধে ব্যথা বা ইনজুরি হয় এবং কীভাবে আমরা এর থেকে সাবধান থাকতে পারি এই বিষয়ে আজকের লেখা।

শুরুতেই কাঁধের গঠন সম্পর্কে একটু ধারনা দেই। আমাদের কাঁধ বা শোল্ডার কাঁধের একটি হাঁড় ও বাহুর একটি হাড় নিয়ে গঠিত। সাথে কিছু মাংসপেশি ও লিগামেন্ট থাকে যা শোল্ডার জয়েন্টকে শক্তিশালী করে। এখানে কাঁধের হাঁড়ে একটি ক্যাপসুল থাকে ও বাহুর হাড়ে একটি বলের মতো অংশ থাকে যা ওই ক্যাপসুলের মধ্যে আটকে থাকে। জয়েন্টটি ঝুলন্ত থাকার কারণে ও বেশি ব্যবহার হওয়ার কারণে ইনজুরির ঝুকিতে থাকে।

কাঁধে ব্যথার কারণ কী ?
যে কোনো রোগের কারণ ছাড়াও ব্যথার মূল তিনটি কারণ হচ্ছে মাংসপেশী বা লিগামেন্টস ইনজুরি, হাড় ভেঙ্গে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া এবং স্নায়ুতে চাপ বা ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া। এই কারণগুলো বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে।

আঘাত জনিত ব্যথা কীভাবে হয় ?
আঘাত পাওয়া যে কোনো ব্যথার অন্যতম কারণ। আঘাতের কারণে মাংসপেশী, লিগামেন্টসে বড় ধরনের বা ছোট ধরনের ইনজুরি হতে পারে। কাঁধ বা শোল্ডার জয়েন্টকে ঘিরে রাখে চারটি টেন্ডন বা লিগামেন্টস। এগুলোকে একত্রে বলে রোটেটর কাফ। আঘাতের কারণে এই রোটেটর কাফের যে কোনো লিগামেন্ট ইনজুরি হতে পারে। যে কারণে সাময়িক কাঁধে বা শোল্ডারে যে কারণে সাময়িক ব্যথা হতে পারে। ইনজুরি ঠিক হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় বা বিশ্রাম না দিলে বা নিয়োমিতভাবে ব্যথার অঙ্গ দিয়ে কাজ চালিয়ে গেলে সেই ইনজুরি থেকে দীর্ঘ মেয়াদী ব্যথা বা ক্রনিক পেইন হতে পারে। আবার অত্যাধিক ভারী জিনিস তুলতে যেয়ে বা জোরে হাত টানের কারণে শোল্ডার ডিসলোকেশন বা ছুটে যেতে পারে। যে সকল আঘাতের কারণে শোল্ডারে ইনজুরি হতে পারে।

  • বাচ্চাদের জন্মের সময় শোল্ডারে ইনজুরি সহ হাঁড় ভেংগে যেতে পারে।
  • ছোট বাচ্চাদের হাত ধরে উঠানোর সময় জোরে টান লাগলে শোল্ডার এ ইনজুরিসহ ডিসলোকেশন হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাচ্চাদের কাঁধ ধরে উঠাতে পারেন।
  • অত্যাধিক ভারী জিনিস তোলার কারণে মাংসপেশী ও লিগামেন্টস ইনজুরি হতে পারে।
  • ব্যায়াম করার সময় অধিক চাপের কারণে মাংসপেশী বা লিগামেন্টস ইনজুরি হতে পারে।
  • ক্রিকেট খেলায় যারা স্পিডে বল করে তাদের ইনজুরি হতে পারে।

কাঁধের হাড় ফেটে যাওয়া বা ভেঙ্গে যাওয়া :
আঘাতে থেকে অনেক সময় হাড় ভেঙ্গে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক সময় সূক্ষ্ম ফাটল খেয়াল করা হয় না। সেক্ষেত্রে তা দীর্ঘ মেয়াদী ব্যথায় রূপান্তর হতে পারে। কাঁধের হাঁড়ের ইনজুরির মধ্যে সাধারণভাবে ক্লাভিকল বা কলার বোন ইনজুরি হয়ে ব্যথা হতে পারে। আবার কাঁধের হাঁড় বিশেষ করে বাহুর হাঁড় ফেটে বা ইনজুরিতে ব্যথা হতে পারে। সাধারণত বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ইনজুরি হতে পারে। অস্টিও পোরোসিসের কারণে হাঁড় ভংগুর হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি খাওয়ার দরকার হতে পারে।
ফ্রোজেন শোল্ডার :
ফ্রোজেন শোল্ডার কাঁধের একটি সাধারণ সমস্যা। সাধারণত মাঝ বয়েসী থেকে অধিক বয়েসীদের এটা হতে পারে। এক্ষেত্রে কাঁধের জয়েন্টে প্রথম দিকে ভেতরের আবরনীতে প্রদাহ হয়ে ব্যথা অনুভূত হয়। যে কারণে হাত নাড়াচাড়া করা থেকে বিরত থাকেন আক্রান্ত ব্যক্তি। দীর্ঘদিন এই সমস্যা থাকলে কাঁধের জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায়। তখন চাইলেও নাড়ানো যায় না। প্রচন্ড ব্যথা হয়।

কারা ফ্রোজেন শোল্ডারের জন্য ঝুঁকিতে থাকেন ?

  • বয়স ৪০ বা তার ঊর্ধ্বে তারা এই সমস্যার জন্য ঝুঁকিতে থাকেন।
  • যে সকল কারণে শোল্ডারের মুভমেন্ট কমে যায়। যেমন- রোটেটর কাফ ইনজুরি, হাত ভেঙ্গে যাওয়া, স্ট্রোকের কারণে ও অপারেশন জনিত কারণে দীর্ঘদিন শোল্ডারের মুভমেন্ট কমে যাওয়া।
  • বিভিন্ন রোগের কারণে হতে পারে। যেমন- ডায়াবেটিস, থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ, হার্টের রোগ, যক্ষ্মা ও পারকিন্সন রোগ।
  • যারা দীর্ঘদিন অস্টিওয়ারথ্রাইটিস বা রিউম্যটয়েড আরথ্রাইটিসে ভূগে থাকেন তাদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা হতে পারে।

কীভাবে ফ্রোজেন শোল্ডার থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ?
একটু সতর্ক থাকলেই আমরা এই সমস্যা থেকে বেঁচে থাকতে পারি। আঘাত জনিত সমস্যা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা। নিয়মিত শোল্ডারের ব্যায়াম শোল্ডারকে ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাঁধ বা শোল্ডার যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ তাই এর কোনো সমস্যাকে হালকা করে না দেখা। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া। শুধু ব্যথার ঔষুধ খেয়ে চিকিৎসা নিজে নিজে না করা। এখন সমস্যা হচ্ছে যদি ফ্রোজেন শোল্ডার হয়ে যায় তবে কী করার আছে? এক্ষেত্রে সমাধান হচ্ছে শোল্ডারকে মুভমেন্ট করানো। যেহেতু ব্যথা হয়। ব্যথা দূর করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে যারা ব্যথার চিকিৎসা করেন তাদের পরামর্শ নিয়ে লোকাল ইনজেকশন নিয়ে ব্যথা কমিয়ে নিয়ে নিয়োমিত এক্সারসাইজ করে এই ফ্রোজেন শোল্ডার থেকে রেহাই পেতে পারেন। নিয়োমিত ফিজিওথেরাপি এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।

বাইসেপস টেনডিনাইটিস :
আমাদের কাঁধে বা শোল্ডারে রোটেটর কাফের চারটি মাংশপেশীর শেষের অংশ বা টেনডন ঘিরে রাখে। বাইসেপস টেনডন তাদের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সামনের দিক থেকে শোল্ডারকে রক্ষা করে। কোনো কারণে এটি আঘাত প্রাপ্ত হলে যেমন- অত্যাধিক ভারী কিছু উপরে তোলা, বার বার মাথার উপরের দিকে হাত জোরে জোরে ঘোড়ানো অথবা সরাসরি কোনো আঘাতে এতে প্রদাহ হয় ও ব্যথা হয়। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি সমাধান না করলে এটি শোল্ডারের দীর্ঘ মেয়াদী ব্যথার কারণ হতে পারে।

বাইসেপস টেনডিনাইটিস চিকিৎসা পদ্ধতি :
আমরা অন্যান্য ব্যথায় ব্যায়ামের কথা বলি। কিন্তু বাইসেপস টেনডিনাইটিস হলে ব্যায়াম করা যাবে না। তাই এটা নির্ণয় করা জরুরী। যারা ব্যথার চিকিৎসা করেন তারা দেখে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে পারেন। আবার প্রয়োজনে আল্ট্রাসাউন্ড করে নিশ্চিত হওয়া যায়। নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা ব্যথামুক্ত ছোট্ট ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করে থাকি ও কিছু দিন বিশ্রাম দিয়ে থাকি। যদি দীর্ঘ মেয়াদী ব্যথা হয় সেক্ষেত্রে আমরা পিআরপি চিকিৎসা দিতে পারি।

কাঁধের অস্টিও আরথ্রাইটিস :
এটা কাঁধে ব্যথার অন্যতম একটি কারণ। এক্ষেত্রে কাঁধের জয়েন্টের ভেতরের আবরনীতে প্রদাহ হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খেতে হবে। এটা বোঝার জন্য খেয়াল রাখতে হবে যাদের এই ধরনের সমস্যা আছে তাদের শরীরের অন্যান্য জয়েন্টও ব্যথায় আক্তান্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে জয়েন্ট ফুলে যায় ও প্রচন্ড ব্যথা হয়। ওষুধ সেবন ও নিয়োমিত এক্সারসাইজ এক্ষেত্রে উন্নতি এনে দিতে পারে। এ সকল রুগীদের বারবার জয়েন্টে ইনজেকশন নেয়াও ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সাময়িক ব্যথা উপশমের জন্য বারবার ইনজেকশন নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। সঠিক রোগ নির্ণয় না করে জয়েন্টে কোনো ধরনের ইনজেকশন জয়েন্টে মারাত্মক ইনফেকশনের কারণ হতে পারে।

কাঁধের ব্যথায় পিআরপি :
পিআরপি হচ্ছে প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা। পিআরপি চিকিৎসা ঘাড়ের ব্যথাসহ অন্যান্য ব্যথার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এতে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। আমাদের শরীরের নিজেস্ব উপাদান দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এতে যাকে দেয়া হবে তার শরীর থেকে ২০ সিসি রক্ত নিয়ে সেটা মেশিনে দিয়ে রক্ত থেকে প্লাজমা আলাদা করা হয়। এই প্লাজমায় প্লাটিলেটসহ অনেক গ্রোথ ফ্যাক্টর থাকে। এটা ইনজুরির জায়গায় দিলে সেখানে লোকাল গ্রোথ ফ্যাক্টর রিলিজ করে স্থায়ী ক্ষত পূরণে সাহায্য করে। এটা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। ব্যথা নিরাময়ের স্থায়ী চিকিৎসায় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

শোল্ডারের ব্যথায় এক্সারসাইজ :
যে কোনো ব্যথায় এক্সারসাইজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্সারসাইজের মাধ্যমে মাংসপেশীগুলো স্ট্রেস নেয়ার ক্ষমতা বাড়ে। রক্ত চলাচল বাড়ে। এর ফলে টেনডন ও লিগামেন্টস নিউট্রিশন পায় ও ভালো থাকে। জয়েন্টের মুভমেন্ট স্বাভাবিক থাকে। স্ট্রেস নেয়ার ক্ষমতা বাড়ে। এছাড়াও এক্সারসাইজের মাধ্যমে শরীর থেকে এনডরফিন নামক পদার্থ রিলিজ হয় যা ন্যাচারাল ব্যথা নাশক হিসাবে কাজ করে। এক্সারসাইজের মাধ্যমে এনকেফালিন নামক পদার্থ রিলিজ হয় যা মানসিক চাপ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

যে সকল এক্সারসাইজ আমাদের শোল্ডারকে ভালো রাখতে পারে তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কয়েকটি হলো :

  • শোল্ডার ওয়ার্ম আপ : শোল্ডারকে রিল্যক্স করুন। কয়েকবার সামনের দিকে কয়েকবার পেছনের দিকে ঘুরিয়ে আনা নেয়া করুন। ১৫-৩০ সেকেন্ড ধরে করুন।
  • এক্রোজ দা চেস্ট স্ট্রেস : আপনার ডান হাতটি সোজা করে আপনার বুকের বরাবর রাখুন। এবার বাম হাত দিয়ে ডান হাতের কনুই বরাবর ধরে বুকের বাম পাশের দিকে চাপ দিন ও ধরে রাখুন ১০-১৫ সেকেন্ড। পদ্ধতিটি উভয় হাত ব্যাবহার করে ৩-৫ বার করুন।
  • শোল্ডারের পেছনের দিকের অংশে স্ট্রেস : আপনার ডান হাত দিয়ে বাম শোল্ডারকে ধরুন বা স্পর্শ করুন। এবার বাম হাত দিয়ে কনুইয়ের পেছন থেকে চাপ দিন ও ধরে রাখুন ১০-১৫ সেকেন্ড। অপর হাতে বিষয়টি একইভাবে করুন। পুরো পদ্ধতিটি ৩-৫ বার করুন।
  • ট্রাই সেপস স্ট্রেস : এটাতে বাহুর পেছনের মাংশপেশীতে স্ট্রেস দেয়া হয়। আপনার ডান হাত উঁচু করে ডান হাত দিয়ে ডান শোল্ডারকে পেছনের অংশ স্পর্শ করুন। এবার বাম হাত দিয়ে চাপ দিন ও ধরে রাখুন ৫-১০ সেকেন্ড। এভাবে অপর পাশে করুন।
  • রোটেটর কাফ স্ট্রেস : ডান হাত শোল্ডার ও কনুই বরাবর ৯০ ডিগ্রি কোণে বা সমকোনে রাখুন। এবার বাম হাত দিয়ে বাহু বরাবর ধরে বাম পাশে চাপ দিন একই সাথে ডান হাত ডান দিকে নেয়ার চেষ্টা করুন একই সাথে হাত সোজা রাখুন। ৩-৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন। অপর হাত দিয়ে একইভাবে করুন। ৩-৫ বার পদ্ধতিটি করুন।
  • পেক্টরালিস স্ট্রেস : আপনার দুই হাত পেছনের দিকে নিন। দুই হাতের তালু একত্রিত করুন। এবার দুই হাত সোজা করুন ও ধরে রাখুন ৫-১০ সেকেন্ড।
  • আপার ট্রাপ স্ট্রেস : বাম হাত বাম উরুর নিচে রাখুন। ডান হাত দিয়ে মাথার উপর দিয়ে কান স্পর্শ করুন। এবার মাথা ও ঘাড়কে ডান পাশে চাপ দিন ও ধরে রাখুন ৫-১০ সেকেন্ড। এভাবে বাম পাশে করুন। পুরো প্রক্রিয়াটি ২-৩ বার করুন। এতে শোল্ডার ও নেক স্ট্রেস হবে। মাথায় ও ঘাড়ে রক্ত চলাচল বেড়ে যাবে।

কখন ব্যায়াম করবেন না :

  • ব্যায়ামের সময় হাতে বা কাঁধে ব্যথা হলে।
  • ফ্রোজেন শোল্ডার অনুভব হলে।
  • হঠাৎ আঘাত পেলে।
  • অতিরিক্ত চাপের এক্সারসাইজ করবেন না যাতে এক্সারসাইজের মাধ্যমে ইনজুরি হতে পারে।

অধিক বয়স্করা কীভাবে ব্যায়াম করবেন :
যারা অধিক বয়স্ক তারা বের হতে পারেন না বা বিভিন্ন সমস্যার কারণে বাসায় থাকতে হয় তারা বিভিন্ন জয়েন্টসের ব্যথায় ভূগে থাকেন। কারণ তাদের জয়েন্টসগুলো মুভমেন্ট হয় না। এদের ক্ষেত্রে অন্য কোনো ব্যক্তি তাকে বা তার জয়েন্টসগুলো মুভমেন্ট করিয়ে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে খুব সাবধানের সাথে করাতে হবে। তাদের ক্ষেত্রে স্টেস এর মুভমেন্ট করানো যাবে না। শুধু স্বাভাবিক মুভমেন্ট করাতে হবে।

শেষ কথা :
আমাদের শরীর ঠিক রাখার জন্য বিভিন্ন জয়েন্টসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মধ্যে হাত ও পায়ের জয়েন্টসের ভূমিকা অপরিসীম। কারণ সব সময়ই আমরা এদের সাহায্যে চলাফেরা করি। হাত ও পায়ের জয়েন্টস ক্ষতিগ্রস্থ হলে আমরা শারীরিক মানাসিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারি। তাই এসকল জায়গা আক্রান্ত হওয়ার আগেই সতর্ক হতে হবে। কোনো কারণে আক্রান্ত হয়ে গেলে সঠিক চিকিৎসা নেয়া অত্যন্ত জরুরি। ভুল চিকিৎসার কারণে হাত ও পায়ের জয়েন্টসের কোনোটি ক্ষতিগ্রস্থ হলে সারা জীবনের জন্য আফসোস করতে হতে পারে।

সকলেই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

(লেখক : কনসালটেন্ট ও পেইন ফিজিশিয়ান
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা।)

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/২৮ আগস্ট-২০২০/জেডএন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here