সবুজ সরকার, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে এক ব্যক্তির পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে আটক করার চেষ্টায় এক পুলিশ কনস্টেবল ও পুলিশের এক সোর্সকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুপম কুমার দাস মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মোজাটি চরপাড়া গ্রামের মো. আক্তারুজ্জামানের ছেলে ও মির্জাপুরের বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্তকৃত কনস্টেবল রাসেলুজ্জামান ওরফে রাসেল এবং বাঁশতৈল নয়াপাড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ও পুলিশের সোর্স হাসান মিয়া।
তাদের মধ্যে রাসেলকে এক বছর ছয় মাস এবং হাসানকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্তকৃত এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল গোপাল চন্দ্র সাহা, তোজাম্মেল হক ও আব্দুল হালিম এবং সোর্স আল আমিনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, কনস্টেবল রাসেলসহ মির্জাপুর থানার বাঁশতৈল পুলিশ ফাঁড়ির ছয় পুলিশ সদস্য এবং হাসানসহ দুই সোর্স ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর পাশের সখীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় যান। তারা ওই এলাকার বজলুর রহমান নামে এক দিনমজুরের পকেটে ইয়াবা দিয়ে তাকে জোর করে অটোরিকশায় তোলেন। এ সময় বজলুর রহমানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে অটোরিকশাটি আটক করেন। বজলুরের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে উপস্থিত লোকজন পুলিশ ও সোর্সদের দেহ তল্লাশি করে কিছু ইয়াবা পায়। এতে সাধারণ মানুষ বিক্ষুদ্ধ হয়ে পুলিশ ও সোর্সদের পিটুনি দিয়ে একটি দোকানে আটকে রাখেন। পরে খবর পেয়ে সখীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে তার আগেই তিনজন কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে বাকি চার জনকে পুলিশ সখীপুর থানায় নিয়ে যায়। সখীপুর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আয়নুল হক বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে সখীপুর থানার এসআই ওমর ফারুক গত ২ জানুয়ারি আদালতে পাঁচ পুলিশ সদস্য ও দুই সোর্সের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত মামলার আটজন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র বিশ্লেষণ শেষে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এ রায় দেন। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/২ সেপ্টেম্বর-২০২০/জেডএন