মধুখালীতে মধুমতির করাল গ্রাসে গ্রাম বাড়ী সড়ক

0
424

সাগর চক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর : ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আ: রউফ এর বাড়ীসহ ওই এলাকার ১৫টি গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ সড়কের গন্ধখালী এলাকার আলী মৃধা ও মো: মতিয়ার রহমান মোল্যার বাড়ীর সামনে একটি অংশ সম্পন্নভাবে মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে। সড়কটির রাজধরপুর দিলীপ ঘোষের বাড়ীর সামনেও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ফলে মানুষের পায়ে হেটে চলাচল করা ছাড়া যানবাহনে করে চলাচল সম্পন্ন ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে সকল প্রকার পণ্য আনা-নেওয়া। রউফ নগরে (সালামতপুর) গ্রামে অবস্থিত ‘বীরশ্রেষ্ঠ ন্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি যাদুঘরটিতে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি নাই।

সড়ক ভাঙ্গনের ফলে সেখানে যানবাহনের মাধ্যমে কোন দুরের দর্শনার্থী আসা-যাওয়া করতে পারছেন না বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। ভাঙ্গন কবলীত এলাকা পার হয়ে গন্ধখালী, ফুলবাড়ী, দয়ারামপুর, সালামতপুর (রঊফনগর), চরসালামতপুর, চরকসুন্দী, কসুন্দী, গয়েশপুর, চরগয়েশপুর, জারজননগর, আড়পাড়া, বকসিপুর, সরবরাজ, চর পুকুরিয়া, শ্রীমন্তকান্দী। ফলে ওই এলাকার ১৫টি গ্রামের প্রায সাড়ে তিন হাজার লোকের দূর্ভোগের সীমা নেই। সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে এই রাস্তা দিয়ে মানুষ বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করে স্থানীয় কামারখালী বাজার, উপজেলা সদর এবং জেলা শহরে যাওয়া-আসা করে থাকেন। ওই এলাকার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে যাতায়ত করে সড়কটি দিয়ে । ওই এলাকার চাকুরীজীবিরা এই সড়টি দিয়ে উপজেলা জেলা সদরে অফিস করে থাকেন তারাও পড়েছে মহা সংকটে। সবচেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কৃষকদের তারা মাথায় করে ছাড়া কোনো প্রকার বাহন ব্যবহারে তাদের কৃষি পণ্য বাজারে নিতে পারছেন না ফলে তারা অর্থের যোগান করতে পারছেন না। এলাকার কোনো রোগী যদি ইমারজেন্সি হাসপাতালে নিতে হয় তাহলে ভ্যান কিংবা গাড়ীর ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

মানুষের দূর্ভোগ সরেজমিনে এসে দেখে অতি তাড়াতাড়ি পথ চলা এবং যানবাহনের মাধ্যমে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য কামারখালী ইউনিয়নবাসী উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। ভুক্তভোগী গ্রামগুলোর বাসিন্দা মো: মোশারফ মৃধা, মো: হিমায়েত মৃধা, মোঃ সিরাজ মৃধা, মো: সাহাদত মৃধা, মো: সাইদুর রহমান, মো: রউফ মৃধা, মো: দেলোয়ার সরদার, মো: কামরুল বিশ্বাস, মো: রজব, মো: কাইউম আলী, এস.এম.দাউদ সর্দার, মো: উজ্জ্বল, মো: আলম জানান রাস্তাটির ভাঙ্গার ফলে সদরে যেতে পারছি না আমাদের কৃষি পণ্য বাজারে বিক্রি করতে না পারায় আর্থিক কষ্টের মধ্যে বাস করছি। তারা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানান।এ ব্যাপারে কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান বাবু জানান বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি তিনি দ্রুত সড়কটি মেরামতের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন।নদী ভাঙ্গন সম্পর্কে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন আমরা মধুমতি নদীতে কামারখালী হতে ভাটিয়াপাড়া পর্যন্ত স্থায়ীভাবে নদীকে ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এটা বাস্তবায়নই আমাদের লক্ষ্য।

 

আলোকিত প্রতিদিন/৩ সেপ্টেম্বর-২০২০/জেডএন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here