হত্যার পর ধর্ষণ করা হয় ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থি শান্তাকে

0
434

সবুজ সরকার: টাঙ্গাইলে ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থি শান্তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করার পর তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত আসামী মাজেদুর রহমান(২৫)। শুক্রবার বিকেলে তাকে টাঙ্গাইল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানোর পর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকার তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। জবানবন্দি শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। টাঙ্গাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ওই গ্রামের চার জনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের ছেলে মাজেদুর রহমান শান্তাকে হত্যার পর ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। পরে তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে মাজেদুর জানান, ঘটনার দিন বিকেলে তার লেবু ক্ষেতের কাছে আসে শাস্তা। তখন ধর্ষণের উদ্দেশ্যে মাজেদুর শান্তার গলায় পেঁচানো ওড়না ধরে টান দেয়। শান্তা চিৎকার করার চেষ্টা করলে সে ওড়না টান দিয়ে ধরেন। একপর্যায়ে শান্তা নিস্তেজ হয়ে পড়লে মাজেদুর ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। গত বুধবার বিকেল থেকে শান্তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত আটটার দিকে তার মরদেহ বাড়ির পাশে একটি কচুক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। নিহত শান্তার ভাই সানি আলম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে থানায় মামলা (নং- ১৬, তাং- ১০/০৯/২০ ইং) দায়ের করেন। শান্তার মরদেহ বুধবার রাতে সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের চৌধুরী মালঞ্চ মিরপুর মধ্যপাড়া গ্রামে তাদের বাড়ির পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। শান্তা ওই গ্রামের সাদেক আলীর মেয়ে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/১২/সেপ্টেম্বর/জেডএন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here