কলাপাড়ায় ডাক্তারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

0
352

রাসেল কবির মুরাদ, কলাপাড়া(পটুয়াখালী): কলাপাড়ায় অবৈধভাবে, পেশায় অনিয়ম ও দুর্নীতি করে একই এলাকায় বছরের পর বছর চাকুরীর সুবাদে হাসপাতালে্র ডাক্তার নিজের নামে বাগান বাড়ী ও প্রাইভেট ক্লিনিক গড়ে তুলেছে। কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসকদের গাফেলতিতে অহরহ রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। জরুরী সেবা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নৌ-এ্যামবুলেন্সটি বিকল হয়ে পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় আছে। এসব নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসসহ প্রতিবাদ করায় উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে । এসকল অভিযোগ, অনিয়ম ও অন্যায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার (৯ অক্টোবর) কলাপাড়া প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ পুত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মহসিন উদ্দীন হিমন ও ভূক্তভোগীরা। ডাক্তারের অবহেলায় রোগী জবেদা বেগম (৭০)’র মৃত্যু এবং মৃত রোগীর স¦জনদের নামে ডাক্তারের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে প্রেসক্লাবের সামনে শত শত মানুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেয়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হিমন ছাড়াও বক্তব্য রাখেন মৃত রোগীর স্বজন নেছারউদ্দিন খোকন, মরিয়ম পাখি, ইসরাত জুবায়ের, জিয়াউদ্দিন মিয়া, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, বাবুল মিয়া প্রমূখ। মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মহসিন উদ্দিন হিমন আরও বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় অসুস্থ অবস্থায় আমার চাচী জবেদা বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তনিমা পারভিন রুনা দায়সারা গোছের চিকিৎসা দিয়ে তাকে বরিশাল রেফার করেন। চাচী জবেদা বেগম যখন শ^াসকষ্টে ছটফট করছিল তখন চাচাতো ভাই-বোনেরা ডাক্তারের যথাযথ সহায়তা পায়নি। তখন অপর একজন ডাক্তারের কক্ষে কর্তব্যরত চিকিৎসক খোশগল্পে মেতেছিল। চিকিৎসা সেবার জন্য বার বার অনুরোধ করার পরও ডাক্তার রোগীকে রেফার করা হয়েছে বলে তার দায়িত্ব শেষ করেন। এনিয়ে তর্ক বিতর্ক সহ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে উপায় না পেয়ে এ্যাস্বুলেন্সে বরিশাল নেয়ার পথে আমতলী যাওয়ার আগেই আমার চাচী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এরপর আমরা সবাই মিলে মরদেহ দাফন-কাফনে ব্যস্ত ছিলাম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুনতে পাই, ডাক্তার তনিমা পারভিন আমি সহ আমাদের ৪ ভাই, ১ বোন ও চাচাতো ভাইদের নামে কলাপাড়া থানায় সরকারি কাজে বাধা দান এবং ডাক্তারকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ এনে মামলা করেছেন। ডাক্তারের নামে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ নেয়নি। সেখানে উল্টো আমাদেরকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। এ মামলা মিথ্যা, যা প্রত্যাহারের দাবিসহ দীর্ঘ বছর একই এলাকায় কর্মরত থেকে জমি জায়গা কিনে বাগান বাড়ী ও ক্লিনিক গড়ে তোলা ডাক্তারদের অপসারনের দাবী করেন তিনি। অপরদিকে ডাক্তার তনিমা তার মামলায় উল্লেখ করেছেন, যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী মৃত জবেদা বেগমকে। অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় বরিশাল নিয়ে হৃদরোগ বিভাগে ভর্তির তাগিদ দেয়া হয়েছে। রোগীকে এ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হয়। এসময় রোগীর কাছে গেলে আসামিরা তাকে লাঞ্চিত ও ধাওয়া করে। চিকিৎসায় কোন ত্রুটি ছিলনা বলেও দাবি করেন উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার। বর্তমানে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলাপাড়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, মৃত রোগী জবেদা বেগম সাবেক প্রয়াত এমপি আনোয়ার-উল-ইসলামের ভাই আমিরুল ইসলামের স্ত্রী।

আলোকিত প্রতিদিন/৯ অক্টোবর’২০/এসএএইচ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here