বিশেষ প্রতিনিধি : দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন ২৯ অক্টোবর ২০২০ তারিখের প্রকাশিত পত্রিকায় পাইক পাড়া গ্রামে ২৮ তারিখে ঘটে যাওয়া এই আলোচিত ঘটনা নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত হয়ে স্হানিয় পুলিশ প্রশাসন খানিকটা নড়েচড়ে বসেন। ভিকটিমদের পক্ষে মো: রিপন মিয়া বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায়- ১৯/২০২০, তারিখ ২৯/১০/২০২০ নং মামলা দায়ের করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেক্স, জামুর্কি, মির্জাপুরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি থাকা চার বোন, বড় বোনের দুই শিশু ও মা এদের বর্ননা ও মামলায় অভিযোগের বিষয়ে স্বরোজমিনে ঘুরে এ চাঞ্চল্যকর তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়।
মামলার বাদী পক্ষের সাথে আসামি পক্ষের দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। এ বিষয়ে ইতোপূর্বে একাধিক মামলা কোর্টে চলমান রয়েছে বলে জানা যায় । হাসপাতালে ভর্তি থাকা পিয়ারা বেগম (৫২) জানান – আসামিগন জোর পূর্বক আমার মৃত স্বামীর বসত বাড়ী ও সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে একাধিকবার গ্রামিন শালিশী বৈঠক ডেকেছি, তারা গ্রামের গন্যমান্যদের রায় মানেন না। এর আগেও অনেকবার আমাদের মারপিট করেছে। আমাদের বাড়ীর কিয়দংশ এখনো তারা দখলে রেখেছে। তাদের লাঠির জোর আছে আর আমারতো এক ছেলে তাও নিরীহ। ন্যায় বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙে পরেন তিনি।
১ নং আসামি কিরন ও ২ নং আসামি অপুকে গ্রেফতার করে পুলিশ কোর্টে প্রেরণ করেছেন। মামলার আইও এস.আই মো: সজল হকের নিকট মামলার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে আলোকিত প্রতিদিনকে অবগত করেন।
বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন সহকারী পুলিশ সুপার বাবু দিপংকর ঘোষ। আসামি পক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি। মামলার বাদী মো: রিপন মিয়ার নিকট মামলার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন- ১ ও ২ আসামি রোড ডাকাত দলের নেতা। ছিনতাইকৃত মটর সাইকেল সহ হাতে নাতে ধরা পরে অনেক দিন জেলে ছিলো। মির্জাপুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি ও ছিনতাই, ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে। ডাকাতি মামলায় জেল খেটে বেরিয়ে এসে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের পরিবারের সম্পত্তি আত্মসাতের লক্ষ্যে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য কতক আসমী হুমকি দিচ্ছে। আমরা অসহায়, তাই আমরা ন্যায় বিচার চাই।
আলোকিত প্রতিদিন/১ নভেম্বর ২০২০/জেডএন