ঘিওর উপজেলা আ. লীগের সভাপতি হিসেবে আব্দুল আলীম মিন্টু- কে দেখতে চায় এলাকাবাসী

0
1084

সৈয়দ এনামুল হুদা: মানিকগঞ্জের ৭ উপজেলার একটি ঘিওর। ইতিহাস-ঐতিহ্য-শিল্পসহ নানাবিধ কারণে আলোচিত এই উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন দেশখ্যাত অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। বর্তমানে স্বাধীনতায় চেতনায় উদ্ভাসিত আওয়ামী রাজনীতির অন্যতম সৈনিক আব্দুল আলীম মিয়া মিন্টু। যাকে গুরু মিন্টু নামেই চেনেন সবাই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনায় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এমন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের ঘিওর উপজেলা সভাপতি দেখতে চান এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আব্দুল আলীম মিয়া মিন্টুর পিতা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুল লতিফ (মতি মিয়া) ছিলেন পারিবারিকভাবে বিত্তশালী এবং দানবীর। এলাকায় শিক্ষার উন্নয়ন ও সমাজসেবা করেই কেটেছে তার রাজনৈতিক জীবন। ঘিওর সরকারি কলেজ, ঘিওর নাট মন্দিরসহ বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা এবং নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের শুরু হয় তারই হাতে। আর মিন্টুর মা হামিদা আক্তার (হেনা) গৃহিনী। এলাকাবাসী জানান, আব্দুল আলিম মিয়া মিন্টুর পরিবার যুদ্ধের আগে থেকেই এলাকার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ঘিওর উপজেলায় জাসদের জন্য এক সময় যখন রাজনীতি করাটাই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল তখন দলের দুঃসময়ে মিন্টুর মেজো বোন কোহিনুর আক্তার নারী হয়েও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঘিওরে আওয়ামী রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করেন। আর জাসদের সাথে টেক্কা দিয়েই দলের দুঃসময়ে আব্দুল আলীম মিন্টু ছাত্ররাজনীতিতে যোগদান করেন।

জানা যায়, ১৯৭৬ সালে ছাত্রলীগে যোগ দেন এই নেতা। ১৯৭৮-১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ঘিওর নগর ছাত্রলীগের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করার পর ১৯৮৪ সালে থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৯০ সালে ঘিওর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে তা নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একাধারে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি এবং দীর্ঘ ৪ বছর জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি ১৯৯৬ ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে প্রথম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে দ্বিতীয় বার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি নিষ্ঠার সাথেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

বিভিন্ন রাজনীতিক সূত্রে জানা যায়, ১/১১ এর সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির সংগ্রামে দূঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করে উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে ভূমিকা রাখেন। এর আগে-পরে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হলেও আওয়ামী রাজনীতি থেকে পিছিয়ে যাননি তিনি। রাজনীতি জীবনে হামলার শিকার হয়েছেন, রাতের পর রাত বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে। সহ্য করেছেন অত্যাচার ও নির্যাতন। এলাকার রাজনীতিক ও স্বাধীনতায় চেতনায় উদ্ভাসিত নাগরিক মনে করেন, ‘এখন নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। ঘিওর উপজেলা আওয়ামী রাজনীতিতে আব্দুল আলিম মিন্টু এক বৈপ্লবিক নাম।’ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের যথোপযুক্ত মূল্যায়ন করার অঙ্গিকার বাস্তবায়ন করার লক্ষে আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে সঠিক ধারায় পরিচালিত করা এবং মানিকগঞ্জ-১ আসনের নৌকার কান্ডারি এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় এমপির হাতকে শক্তিশালী করার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে তিনিই যোগ্য বলে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মীরা মনে করেন।

আলোকিত প্রতিদিন/১২ নভেম্বর’২০/এসএএইচ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here