পটুয়াখালী প্রতিনিধি : বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, বিজয়ের মাস ডিসেম্বর এলেই বেড়ে যায় জাতীয় পতাকা বেচাকেনার ধুম। সারাদেশের মতো পটুয়াখালীতেও জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম লেগেছে। ডিসেম্বর মাসে মূলত বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করেই এ পতাকা বিক্রির হিড়িক লেগে যায়। অফিস-আদালত, দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ যানবাহনে বিজয় দিবসে উড়বে লাল-সবুজের পতাকা। ১৬ ডিসেম্বর বাড়ির ছাদে, বারান্দায়, সব ধরনের ছোট বড় গনপরিবহন এমনকি ছোট ছোট শিশুদের হাতেও শোভা পাবে লাল সবুজের পতাকা। পটুয়াখালীর সড়কে সড়কে দেখা যায়, বাঁশের সাথে ছোট বড় জাতীয় পতাকা বেঁধে বিক্রি করছেন মৌসুমি বিক্রেতারা। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে পতাকা কিনছেনও অনেকেই। সারা বছর অন্য পেশায় জীবিকা নির্বাহ করলেও ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারী ও মার্চ মাসে অনেকেই পতাকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সাধারনত এ মাস গুলোতে জাতীয় পতাকা বেশি বিক্রি হয়। পটুয়াখালীর চৌরাস্তায় কথা হয় পতাকা বিক্রেতা লতিফ মিয়ার (৫৫) সাথে। তিনি বলেন, করোনার জন্য এ বছর বিগত বছরের তুলনায় বিক্রি কম হচ্ছে। এসময় তিনি আরো জানান, ১০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা দামের পতাকা তার কাছে রয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি করতে পারেন। এর মধ্যে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা লাভ হয়। বিজয় দিবস যত ঘনিয়ে আসছে ততই পতাকা বিক্রি বাড়ছে বলে জানান এ বিক্রেতা।
পটুয়াখালীর নিউমার্কেটে এক পতাকা বিক্রেতা জানান, বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ৬ ফুট থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাপের কাপড়ের পতাকার পাশাপাশি কাগজ দিয়ে তৈরি পতাকাও বেচাকেনা হচ্ছে। এছাড়া পতাকার পাশাপাশি লাল সবুজ রঙের কাগজের ক্যাপ, রাবারের ব্যান্ড, ব্রেসলেট ও বুকে লাগানো ব্যাজ বিক্রি করছেন তারা। ৬ ফুট আকৃতির কাপড়ের পতাকা ২০০ টাকা, ৫ ফুটের পতাকা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কাগজের ১০০ পিস পতাকার বান্ডিল বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়, ব্রেসলেট ২০ টাকা আর মাথা বন্ধনি ৩০ টাকা। ক্রেতা স্কুল ছাত্র ইশতিয়াক জানায়,কাগজের জাতীয় পতাকা কিনেছি। বন্ধুদের দেবো আর ঘর সাজাবো লাল সবুজের এ জাতীয় পতাকা দিয়ে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৫ ডিসেম্বর ২০২০/জেডএন