গাইবান্ধা প্রতিনিধি : আখ মাড়াই স্থগিতের সিদ্ধান্ত বাতিল করে মিল চালুর দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন রংপুর চিনিকলের শ্রমিক ও আখচাষীরা।
১৯ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়কে দুই ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিক ও আখচাষীরা। শত শত শ্রমিক-চাষীরা এতে অংশ নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় মিলের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিক কর্মচারীর মানবেতর জীবন যাপন করছে বলে দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। অবিলম্বে রংপুর চিনিকল চালু না করলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণার হুশিয়ার দেন শ্রমিক নেতারা।
সম্প্রতি চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে আখ মাড়াই স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে অবিলম্বে মিলের চাকা সচল করার দাবি জানান তারা। অবরোধ চলাকালে রংপুর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবু সুফিয়ান সুজা, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দুলাল, আখচাষী কল্যাণ গ্রুপের সভাপতি জিন্নাত আলী প্রধান, ইক্ষু উন্নয়ণ কর্মী সংসদের সম্পাদক শাহজাহান আলী প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তারা অবিলম্বে সকল চিনিকল আধুনিকায়নের মাধ্যমে চালানো ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। অন্যথায় বৃহৎ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। গত ২ ডিসেম্বর থেকে অব্যাহতভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন তারা।
লোকসানের অজুহাতে গাইবান্ধা জেলার কৃষিভিত্তিক একমাত্র ভারিশিল্প কারখানা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জস্থ রংপুর চিনিকলসহ ৬টি চিনিকলে আখমাড়াই বন্ধ রাখার প্রতিবাদে ২ ডিসেম্বর থেকে মহিমাগঞ্জে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সহস্রাধিক আখচাষী ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প সংস্থার সদর দপ্তরের আওতাধীন ১৫টি চিনিকলের মধ্যে ২০২০-২০২১ মৌসুমে ৬টিতে মাড়াই বন্ধ রেখে ৯টি চিনিকলে আখমাড়াই করার নির্দেশনা সম্বলিত একটি চিঠি পাওয়ার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আখচাষী ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। ওই দিনে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত আখচাষী ও শ্রমিক-কর্মচারীরা গোবিন্দগঞ্জ-মহিমাগঞ্জ সড়কের চিনিকলের সামনের কয়েকটি স্থানে মোটরের টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ডিসেম্বর-২০২০/জেডএন