নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আমার অহংকার এই শ্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জঙ্গী, সশস্ত্র সন্ত্রাসী, জলদস্যু গ্রেফতার সহ মাদক দ্রব্য উদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে মাদক বিরোধী অভিযানে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকের চোরাচালান, চোরাকারবারী, চোরাচালানের রুট, মাদকস্পট, মাদকদ্রব্য মজুদকারী ও বাজারজাতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাচ্ছে। র্যাব-২ সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবদান রেখে চলেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) আনুমানিক রাত ৮টা ৪০ মিনিটে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন তাজমহল রোড এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী মাদকের একটি বড় চালান ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র্যাবের আভিযানিক দল রাত ৯টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন তাজমহল রোডস্থ মেধাকুঞ্জ মডেল স্কুল এর সামনে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতিটের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে মো: জিয়াউল হক (৪০) ও মো: জাবেদ বিন আজিজ (৪০) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে ফেন্সিডিলের চালান সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে তাদের সাথে থাকা পুরাতন ট্রাভেল ব্যাগের ভিতর তল্লাশি করে ১৩০ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদকের আরো কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তারা জানায়, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোড হয়ে একজন মাদক ব্যবসায়ী মোটর সাইকেলে করে মাদকের একটি চালান নিয়ে আসতেছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে র্যাবের আভিযানিক দল রাত ১০টা ২০ মিনিটে ধানমন্ডি থানাধীন ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোডস্থ জয়িতা নার্সারি নামক প্রতিষ্টানের সামনে পাকা রাস্তার উপর উপস্থিত হয়ে উক্ত মোটর সাইকেল আটকের অপেক্ষায় ওৎ পেতে থাকে। অতপর ১০টা ৪৫ মিনিটে মোটরসাইকেলটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে থামার জন্য সংকেত দেওয়া মাত্র, র্যাবের উপস্থিত টের পেয়ে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা কালে মো: নোমান হোসেন (৩৯) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ১৩৫ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় দেশের আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে অভিনব পন্থায় নিত্য নতুন কৌশলে সীমান্ত পথ দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসা ফেন্সিডিল স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে বড়লোক হবার নেশায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে চড়াদামে বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। এছাড়াও ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখবে।
উপরোক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব-২ এর দপ্তর থেকে জানানো হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ডিসেম্বর-২০২০/জেডএন