দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : দুর্গাপরে প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে ভূমি দখল ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলার আলীপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে আসাদুল ইসলাম (৪০) বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৩ টার দিকে আলীপুর বাজারে আমার নিজ সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণকাজের জন্য ইট রাখা হয়। ওই দিন বিকেল ৩ টা ৩০ মিনিটিরে দিকে দুর্গাপুর থানার পুলিশ এএসআই লতিফসহ কয়েকজন সহযোগী ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার জায়গা থেকে ইট সরাতে বলে।
আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন চৌধুরী থানার ওসি স্যারকে নির্দেশ দিয়েছে তাই আমরা জায়গা ফাঁকা করতে এসেছি। এ সময় আমি জমির কাগজপত্র ও আদালতের রায়ের কপি দেখাতে চাইলে এএসআই লতিফ কাগজপত্র না দেখে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে। উক্ত জমিটি নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলো। মামলার পরে মাহামান্য আদালতের রায় আমরা মেনেও নিয়েছি। কিন্তু আমার প্রতিপক্ষরা একই গ্রামের মান্নান চৌধুরীর ছেলে জাকির হোসেন চৌধুরী ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন চৌধুরী এলাকায় প্রভাবশালী হওয়াতে আদালতের রায় উপেক্ষা করে আমার জমিটি জোরপূর্বক দখল ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। আমি আমার দরিদ্র পরিবার পরিজন নিয়ে প্রশাসনের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে আদালতের রায় বাস্তাবায়নের জন্য অনুরোধ করলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না ।
প্রসঙ্গগত, ওই জমিটি নিয়ে উপজেলার আলীপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান চৌধুরী ২০১৬ সালে সহকারি জজ আদালত রাজশাহীতে সিদ্দিকুর রহমানকে বিবাদী করে একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে ২২ অক্টোবর ২০২০ সালে আদালত আব্দুল মান্নান চৌধুরীর পক্ষেই রায় দেয় আদালত। সে রায় সিদ্দিকুর রহমান মেনেও নেন। রায়ে ৩০৬ নং আর এস খতিয়ানের হাল ৬৯৬৬ নং দাগের. ৪৮ শতকের কাত ০.০৪১৩ সহ: মধ্যে. ০০২৫ সহ: পূর্ব দিকে রাস্তা সংলগ্ন সম্পত্তি থেকে বিবাদীদের উচ্চেদের ডিগ্রী পেয়েছেন বলে ভুক্তভোগীর আদালতের রায়ের কপিতে উল্লেখ আছে। আদালতের রায়টি তারা মেনেও নিয়েছেন। বর্তমানে জমিটির দলিল ও মহামান্য আদালতের রায় উপেক্ষা করে জমিটির রাস্তার উত্তর অংশ জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ।
সংবাদ সম্মেলনে, এ ঘটনায় এলাকার জনপ্রতিনিধি, থানা ও প্রশাসনের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেওয়া হলেও প্রতিকার পাওয়া যায় না বলেও জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আসাদুল ইসলামের ভাই আশরাফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও চাচা হায়দার আলী।
আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ডিসেম্বর ২০২০/জেডএন