মাদারীপুরে প্রেমিকের সেপটিক ট্যাংকে মিলল কিশোরীর মরদেহ

0
291

প্রতিনিধি, মাদারীপুর : মাদারীপুরে নিখোঁজের ১১ মাস পর প্রেমিকের সেপটিক ট্যাংকে মিলল কিশোরীর মরদেহ নিখোঁজের ১১ মাস পর প্রেমিকের সেপটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদা আক্তার নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাদারীপুরে ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর জেলার ডাসার থানার পূর্ব বোতলা গ্রামের চাঁনমিয়া হাওলাদারের দশম শ্রেণির ছাত্রী মুর্শিদা আক্তারের সাথে একই গ্রামের মজিদ আকনের ছেলে সাহাবুদ্দিন আকনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের সূত্র ধরেই গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মুর্শিদাকে বাড়ি থেকে চিকিৎসা করানো কথা বলে নিয়ে যায়।এরপর নিখোঁজ থাকায় গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদার পরিবার ডাসার থানায় একটি জিডি করে। এতে কোন প্রতিকার না হওয়ায় গত বছরের ৪ মার্চ সাহাবুদ্দিনসহ ৫ জনকে আসামি করে ডাসার থানায় একটি মামলা করেন মুর্শিদার মা মাহিনুর বেগম। দীর্ঘদিন মামলার কোন অগ্রগতি না হওয়া মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তরের আবেদন করে বাদী পক্ষ।পরে মামলাটি মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তভার গ্রহণ করে। এরপর গত বৃহস্পতিবার মামলার আসামি সাহাবুদ্দিন আকন আদালতে আত্মসমর্পণ করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই তারিকুল ইসলাম আসামি সাহাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।আজ বিকেলে সাহাবুদ্দিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা ও মরদেহ গুম করার বিষয়টিও গোয়েন্দা পুলিশের কাছে স্বীকার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাহাবুদ্দিনের বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহতের মামা টিপু সুলতান বলেন, ‘আমার ভাগ্নিকে গত বছরের ফ্রেবুয়ারি মাসে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকায় পর আমরা থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ অসহযোগিতা করে। পরে এক পর্যায়ে মামলা হলেও পুলিশ আসামি গ্রেফতার করেনি। আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর আসামির দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক আসামির বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে মুর্শিদার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।’মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান মিয়া জানান, ‘সাহাবুদ্দিনের দেয়া তথ্য মোতাবেক আসামির বাড়ির সেফটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

আলোকিত প্রতিদিন/১০ জানুয়ারি’২১/এমজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here