প্রতিনিধি, নরসিংদী : নরসিংদীর পলাশ ঘোড়াশালে নারী শ্রমিকের আত্মহত্যার রহস্য উদ্গাঠিত হয়েছে। বিয়ের দাবী মেনে না নেয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে বিষপান করে জনি বেগম (২১) নামের এই তরুণী। বিষপানের পর মূমুর্ষু অবস্তায় প্রেমিকা জনিকে চিকিৎসার কথা বলে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় কথিত প্রেমিক মুঞ্জুর হোসেন (২৩)। হাসপালে নেয়ার পথেই জনি মারা যায়।
এই ঘঠনা ঘটে বৃহস্পতিবার সকালে। পরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে পলাশ থানায় নিহতেরর বাবা বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
নিহত জনি বেগম গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নারগানা গ্রামের করিম মোড়লের মেয়ে। অপর দিকে কথিত প্রেমিক মুঞ্জুর হোসেন ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ধারারটেক গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানান, জনি ও মুঞ্জুর পলাশের স্যামরি ডাইং কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতো। কাজের সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে তাদের সম্পর্কটি গভীরে পৌঁছালে জনি মুঞ্জুরকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে বিয়ে না করলে গেল বুধবার জনি বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মুঞ্জুরের বাড়িতে গিয়ে উঠে। সেখানে মুঞ্জুর হোসেন বিয়ের দাবি প্রত্যাখ্যান করলে জনি বেগম বিষপানে আত্মহত্যা করে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো: নাসিরউদ্দিন জানান, ঘঠনার দিন কথিত প্রেমিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃতদেহ রেখে পালিয়ে যায়। পরে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে মামলা নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মুঞ্জুর হোসেন পলাতক রয়েছেন।
আলোকিত প্রতিদিন/১৭ জানুয়ারি-২০২১/জেডএন