মোস্তাফিজার রহমান(জাহাঙ্গীর), ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আবারও জেঁকে বসেছে শীত, কাপছে হতদরীদ্র ও ছিন্নমুল বস্ত্রহীন মানুষ। শীত যেমন ক্রমেই বাড়ছে তেমনি বাড়ছে গরীব অসহায় মানুষের ভোগান্তি। শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত কয়েকদিনের শীতের তীব্রতায় বেশি পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যেবিত্ত আয়ের মানুষ। ফুলবাড়ীতে গত কয়েক দিন হতে সারাদিনেও মিলছেনা সূর্য্যের দেখা। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে চারিদিক। সারারাত গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মতোই ঝরতে থাকে কুয়াশা।শীতের তীব্রতায় বৃদ্ধ ও শিশুদেরকে নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবারের লোকজন। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে অনেককে। ঘন কুয়াশায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেননা। ফলে শীতকে উপেক্ষা করে যানবাহন নিয়ে বের হয়েও রাস্তায় কাঙ্খিত যাত্রী পাচ্ছেননা চালকেরা। চারদিক কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ আর চরম ঠান্ডায় কাজে বেরুতে পারছেননা শ্রমজীবি মানুষেরা। ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন পেশার শ্রমিক যাদের সকাল হলেই কাজে বের হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। শীত জনিত রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকায়। এছাড়াও গৃহপালিত পশুপাখি নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছেন খামারীসহ প্রান্তিক কৃষকেরা।শীতের তীব্রতার হাত থেকে গবাদিপশু গুলিকে রক্ষা করতে অনেকেই পুরাতন কাঁথা,কম্বল,কাপড় ও বস্তা দিয়ে পশুগুলোকে মুড়িয়ে দিচ্ছেন। জীবন-জীবিকার তাগিদে তীব্র ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করতে দেখা গেছে কৃষি শ্রমিকদের।এমন পরিস্থিতিতে শীতের বিরূপ প্রভাব পড়েছে চলতি বোরো চাষাবাদে। উপজেলার অনেক ধানচাষি ঠান্ডার কারণে বিরত আছেন বোরো চারা রোপনে।কেউ কেউ আবার শীতের কারণে বোরোর চারা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত জানিয়েছেন ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ১ম ধাপে ২৭৬০ জনকে ২য় ধাপে ২১০০জনের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।আবারও বরাদ্দ আসল তা বিতরণ করা হবে।
এছাড়াও উপজেলায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রেখেছেন বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
আলোকিত প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি’২১/এসএএইচ