আজ শুক্রবার, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ১ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সুনামগঞ্জে বসতবাড়ি রেখে অন্তঃসত্বা প্রেমিকা স্বপরিবারে নিরুদ্দেশ

-Advertisement-

আরো খবর

- Advertisement -
- Advertisement -

প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের পল্লীতে প্রেমিকের লালসার শিকার হয়ে ৫ মাসের অন্তঃসত্বা এক প্রেমিকা বসতবাড়ি ফেলে রেখে স্বপরিবারে নিরুদ্দেশ হয়েগেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (৩০শে জানুয়ারী) সকাল ৯টায় এই ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে। বর্তমানে অন্তঃসত্বা প্রেমিকার ছোট বসতঘরটি তালাবদ্ধ রয়েছে। প্রতিবন্ধি বাবা ও অসহায় মাসহ ছোট ভাই-বোনকে নিয়ে সে কোথায় চলে গেছে তা কেউ জানেনা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে জেলার প্রবাসী অধ্যুসিত জগন্নাথপুর উপজেলায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নারিকেলতলা গ্রামের আখলুছ মিয়ার ছেলে টমটম চালক জামিল মিয়ার সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী ১৭বছর বয়সী ওই তরুনীর দীর্ঘদিনের প্রেম ছিল। তারই সূত্রে ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুনীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে লম্পট জামিল। এর ফলে ওই তরুনী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে। আর এই বিষয়টি প্রেমিক জামিলকে জানানোর পর সে তার প্রেমিকাকে পেটের বাচ্চা হত্যা করার পরামর্শ দেয়। তখন অন্তঃসত্বা তরুনীকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে লম্পট জামিল দুইদিনের সময় নিয়ে সুকৌশলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। বর্তমানে ওই তরুনী ৫ মাসের অন্তঃসত্বা। এমতাস্থায় কোন উপায় না পেয়ে পেটের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায় ওই তরুনী। কিন্তু অবৈধ গর্ভপাত করাতে কেউ রাজি হয়নি। তাই লোক লজ্জা ও কলঙ্গের ভয়ে বাড়িঘর ফেলে রেখে বাবা-মা ও ভাই-বোনকে নিয়ে রাতের আধারে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। আজ শনিবার (৩০শে জানুয়ারী) সকালে প্রতিবেশিরা এঘটনাটি নিশ্চিত হওয়ার পর সারা এলাকাবাসীর মাঝে খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবিকা জোসনা বেগম বলেন- ওই অন্তঃসত্বা তরুনী গত মঙ্গলবার (২৬শে জানুয়ারী) আমার কাছে এসেছিল অবৈধভাবে গর্ভপাত গঠানোর জন্য। কিন্তু আমি এই বেআইনী কাজটি না করে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম।
ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন- অন্তঃসত্বা মেয়েটি আমাকে মোবাইলে কল করে তার সমস্যাটি জানিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সে কোথায় আছে তা জানিনা।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন- এলাকার লোকজনের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু থানায় এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে এব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

আলোকিত প্রতিদিন/৩০ জানুয়ারি’২১/এম.জে

- Advertisement -
- Advertisement -