জামালপুরের ভ্যান চালক শম্পার পরিবার পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘর

0
366
প্রতিনিধি,জামালপুরঃ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জামালপুরের শিশু শিক্ষার্থী ভ্যান চালক শম্পার পরিবারকে পাকা ঘর তৈরির কাজ শেষে আজ নতুন ঘর বুঝিয়ে দিয়েছেন জামালপুরের জেলা প্রশাসন মোহাম্মদ এনামুল হক। পরিবারটির ভরনপোষণের দায়িত্বও নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাবার চিকিৎসার জন্য ভ্যান চালায় শিশু শম্পা’ প্রচারিত সংবাদটি প্রধানমন্ত্রীর নজরে এলে তিনি এই পরিবারের দায়িত্ব নেন। শম্পা খাতুন জামালপুর সদর উপজেলার নাকাটি গ্রামের ভ্যান চালক শফিকুল ইসলাম ওরফে ভাসানীর দ্বিতীয় কন্যা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত বছরের ০২ ডিসেম্বর শম্পার পরিবারকে একটি পাকা ঘর তৈরি করে দেওয়ার কাজ শুরু করেন জেলা প্রশাসক। পাকা ঘরের নির্মাণ শেষে আজ দুপুরে পরিবারটির কাছে ঘর হস্তান্তর করা হল। ঘর তৈরির পাশাপাশি শম্পার বাবা শফিকুল ইসলাম ওরফে ভাসানীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে সরকারি খরচে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। বর্তমানে তিনি অনেকটা ভালো আছেন। এই পরিবারের আয়ের জন্য বাড়ির পাশেই একটি মুদি দোকান তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১০ বছর বয়সের শম্পা খাতুন জামালপুর সদর উপজেলার নাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। শফিকুল ইসলাম ওরফে ভাসানীর দুই কন্যার মধ্যে শম্পা ছোট। বড় কন্যার বিয়ে হয়েছে কয়েক বছর আগে। ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন ভাসানী। ৫ বছর আগে জামালপুর শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় এক পা ভেঙ্গে যায়। দীর্ঘদিন পঙ্গু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করেছেন। সবকিছু বিক্রী করে প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ করেও ভালো হয়নি তার পা। দেড় বছর যাবত ঘরে পরে আছেন তিনি। প্রতিদিন তার ওষুধ লাগে ১০০ থেকে ১৫০ টাকার। দেড় বছর আগে থেকে বাবার ওষুধের টাকা যোগাড় আর সংসারের হাল ধরতে ভ্যান চালানো শুরু করেন শিক্ষার্থী শম্পা। লেখাপড়ার পাশাপাশি ভ্যান চালিয়ে যে আয় হয় তা দিয়ে চলে সংসার ও অসুস্থ বাবার চিকিৎসা। জামালপুরের জেল প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানালেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পাকা ঘর তৈরির পর আজ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবারের হাতে অনুদানের অর্থ তুলে দেয়া হয়েছে।
শিশু শম্পা ও তার মা নেবুজা বেগম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞা জানান। ঘরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমীনসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।
আলোকিত প্রতিদিন/৩১ জানুয়ারি’২১/এম.জে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here