জনগণকে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামার আহ্বান সু চির

0
449

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে জনগণকে বিক্ষোভে নামার আহ্বান জানিয়েছেন সু চি। দেশটির ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সোমবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দেশের জনগণের সামরিক অভ্যুত্থান মেনে নেয়া উচিত নয় এবং এর বিরুদ্ধে অবশ্যই বিক্ষোভ করা উচিত। খবর রয়টার্সের। সোমবার সকালে আটকের পর থেকেই সু চি এবং তার দলের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীদের আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি। দেশের সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার ফলে দেশে আবারও স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চালু হবে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে এনএলডি। সু চির নাম নিয়েই এসব বিবৃতি দেয়া হলেও সেখানে তার স্বাক্ষর ছিল না। সু চির পক্ষ থেকে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই সামরিক অভ্যুত্থান মেনে না নিতে আমি লোকজনকে আহ্বান জানাচ্ছি। আন্তরিকভাবে সবাই এই বিক্ষোভের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। এনএলডির চেয়ারম্যান উইন হেইন একটি বিবৃতি জারি করেছেন। তার হাতে লেখা ওই বিবৃতিকে নির্ভরযোগ্য এবং এটি সু চির ইচ্ছার প্রতিফলন বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। উইন হেইন বলেন, আমার জীবনের দিব্যি দিয়ে বলছি এটা অং সান সুচির নির্ভরযোগ্য বিবৃতি, যা তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে, মিয়ানমারে সব ধরনের আর্থিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংক। সোমবার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি এবং ইন্টারনেট সংযোগ দুর্বল হয়ে পড়ার পরই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মিয়ানমার ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বর্তমান রাজনৈতি পরিস্থিতিতে ইন্টারনেটসেবা ব্যাহত হওয়ায় দেশটির সব ব্যাংক তাদের সব ধরনের আর্থিক কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব ব্যাংকের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ রাখার বিষয়ে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নেয়া হবে এবং কবে থেকে সব কার্যক্রম আবারও শুরু হবে সে বিষয়টি পরে জানিয়ে দেয়া হবে। সোমবার সকালে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে ক্ষমতা গ্রহণ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজনকে আটকের পর পরই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এনএলডির মুখপাত্র মিও নিয়ুন্ট জানিয়েছেন, সোমবার সকালে অভিযান চালিয়ে এসব নেতাকে আটক করা হয়েছে। গত নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলকে জালিয়াতি বলে উল্লেখ করেই মূলত ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইংয়ের কাছে দেশের ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে। জরুরি অবস্থার মধ্যেই রাজধানী নাইপিদোতে মোবাইল ফোন ও রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং রেডিওর প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন মায়াবতির সম্প্রচার চালু রয়েছে। সোমবার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টি মায়াবতির মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে। টেলিভিশনের এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইং দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।

আলোকিত প্রতিদিন/০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here