কুড়িগ্রামে টানা শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে মানুষ

0
285

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ গত চারদিন ধরে মাঝারি ও মৃদু শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে কুড়িগ্রামের মানুষ। রাতে ঘন কুয়াশা আর হিমেল ঠান্ডা হাওয়ায় গড়ম কাপড়েও কমছে না শীত। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো রযেছে চরম দুর্ভোগে। দিনে সুর্যের আলো থাকলেও ঠান্ডা বাতাসের কারণে স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে।
এদিকে ঠান্ডার কারণে দুর্ভোগে রয়েছে দিনমজুর, ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। শহরের সিএন্ডবি ঘাট এলাকার মহিজন বেওয়া জানান, আমার বোন, তার শাশুড়ি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। আমি নাগেশ্বরী থেকে এসেছি তাদের দেকভাল করতে। এই এলাকায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে শীতজনিত রোগে ভুগছে কেউ না কেউ। এই এলাকার বাসিন্দা নয়ন জানান, শীতে বয়স্ক মানুষ শ্বাসকষ্ট আর সর্দিকাশিতে কাহিল হয়ে পরেছে। যে ঠান্ডা তাতে কম্বল গায়ে দিয়ে শীত নিবারন করা যাচ্ছে না।
সদরের ধরলা নদী তীরবর্তী চর ভেলাকোপায় বসবাসরত তৃতীয় লিঙ্গের আজাদ ও কামাল জানান, শীতের কারণে আমাদের বেশ কয়েকজন শয্যাশায়ী। ঠান্ডার কারণে বাইরে কাজে বের হতে না পেরে খুব কষ্টে কাটছে তাদের দিন।
এখানকার গৃহবধূ তানজিলা ও রোশনা জানান, ঠান্ডায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে বাড়ীর গৃহবধূরা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ঠান্ডা পানি ব্যবহার করায় হাত পা অসার হয়ে যায়। বেশিরভাগ গৃহবধূ ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পরেছে। দেখা দিয়েছে চর্ম সংক্রান্ত রোগব্যাধী।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, ঠান্ডার প্রকোপে ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়ায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। একটু সাবধানে থাকলে এসব রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তিনি আরো জানান, প্রতিদিন গড়ে জেনারেল হাসপাতালের আইডোরে ৭শ থেকে ৮শ’জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। ইনডোরে ভর্তি হচ্ছে গড়ে প্রায় ৬০জন। এদের অধিকাংশ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। লোকবল কম থাকায় আমাদের উপর খুব চাপ যাচ্ছে। আমরা হিমসীম খাচ্ছি। তবে রোগীরা ভাল আছে।
আজ বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়া অফিস বলছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে চলছে এ জেলার উপর দিয়ে। যা আরো কয়েক দিন থাকবে।

আলোকিত প্রতিদিন/০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here