গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাঘাটায় যমুনা নদীর পানি হ্রাস পাওয়ায় নৌঘাটে প্রবেশপথে বালুচর জেগে উঠার ফলে বন্ধ হয়েছে নৌঘাট। একটি সচল থাকলেও নৌ-চলাচলের ক্যানেল বন্ধ হওয়ায় নৌকাঘাটে ভিড়তেও পড়তে হচ্ছে নৌযান। জানা যায় প্রতি বছর পৌষ ও মাঘ মাস এলেই যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে হ্রাস পেয়ে গাইবান্ধার সাঘাটায় নৌঘাটগুলোর প্রবেশপথে বালুচর জেগে উঠে। সাঘাটা উপজেলার পাঁচটি নৌঘাট ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। সাঘাটা উপজেলা সদর ঘাটটি সচল থাকলেও নৌ-চলাচলের ক্যানেল বন্ধ হয়ে নৌকা ঘাটে ভিড়তে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ফলে হলদিয়া ইউনিয়নের দিঘলকান্দি,পাতিলবাড়ী, জামালপুরে দেওয়ানগঞ্জ ও গুটালসহ বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষের চলাচল এবং এলাকায় উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতে একমাত্র মাধ্যম হলো নৌকা। প্রবেশপথে বালুচর জেগে নৌ-ক্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে চরাঞ্চলের এসব মানুষ তাদের উৎপাদিত আলু,মরিচসহ বিভিন্ন ফসল বাজারে বিক্রয়ের জন্য আনা নেওয়া করতে পারছেন সমস্যা হচ্ছে। উপজেলার বাঘমারী চর হতে গারামারা পর্যন্ত ড্রেজিং করা হলে প্রায় ৪ কিলোমিটার বালুচর পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়ে এসব লোকজনকে অতিকষ্টে যাতায়াত করতে হবে না। মহিলা ও বৃদ্ধ মানুষ যাতায়াত করছে অতিকষ্টে। পণ্য সামগ্রীর পরিবহন তো দূরের কথা বালুর মধ্যে পায়ে হেঁটে আসা যাওয়াই অতি কষ্টকর। এছাড়া মুমূর্ষু রোগির জরুরি চিকিৎসার জন্য বালুচর দিয়ে হেঁটে সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। জেগে উঠা বালুচর খনন করে বালু অপসারণ করে নৌ-চলাচল পথ সচল করান দাবি করেন চরাঞ্চলবাসী। তা হলে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে চরাঞ্চলে। দুর্ভোগ লাঘব হবে চরাঞ্চলবাসীর। সাঘাটা নৌঘাটের ইজারাদার ওবায়দুল্ল্যাহ বলেন সরকারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে ঘাট লিজ নিয়েছি। কিন্তু বালুচর জেগে উঠে নৌ-ক্যানেল বন্ধ হওয়ায় নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন সাধারণত নৌ-চলাচলে ড্রেজিং কাজটা করি না। তবে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের আওতায় কেন্দ্রীয়ভাবে সমীক্ষা কাজ চলছে।
আলোকিত প্রতিদিন/০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে