গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় হাসিবুর নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় নিহতের স্বজনদের মারধর করার ঘটনা ঘটে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসিবুর গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিদারী গ্রামের ব্যাপারি পাড়ার বকুল মিয়ার ছেলে ও দাড়িয়াপুর আমানউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হারুন অর রশিদ ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগসহ মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। নিহত হাসিবুরের পরিবারের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার বিকালে খেলাধুলা শেষে হাসিবুর শারীরিক অসুস্থতাবোধ করলে তাকে চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুজন পাল প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসিবুরকে সাধারণ বেডে ভর্তি করে। এরপর হাসিবুরের অবস্থার উন্নতি না হলে মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে হাসিবুরের শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করা হয়। ইনজেকশন দেওয়ার পরপরই হাসিবের নাক-মুখ দিয়ে ফেনা ও রক্ত বের হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে তার মৃত্যুহয়। হাসিবুরের বাবা বকুল মিয়া বলেন, ইনজেকশন পুশ করার প্রতিবাদ জানালে আমাদের উপর চড়াও হয় দায়িত্বরত চিকিৎসক-নার্স। পরে বাহির থেকে ফোন করে আনা কিছু ভারাটিয়া সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমাদের মারধর করতে করতে হাসপাতাল থেকে বের করে দেওয়া হয়। তবে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ অস্বীকার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, সাসপেক্টেট পয়জনিং হিসেবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর দুই ঘণ্টা পরে রোগীটি মারা যায়। এর পরিপেক্ষিতে রোগীর লোকজন নার্সদের উপর চড়াও হয়। ইনজেকশন দিয়ে তাকে মারা হয়েছে এমন অভিযোগ করে।
আলোকিত প্রতিদিন/১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে