কক্সাবাজারে হোটেল ও রেস্টুরেন্টে দুদকের অভিযান

0
418

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্টে ভ্যাট ফাঁকির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানের প্রথমদিন কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় উইন্ডো টেরেজ, অস্টার ইকো, সী-উত্তরা, হোটেল ডায়মন্ড ও শালিক রেঁস্তোরায় প্রচুর ভ্যাঁট ফাঁকির প্রমান পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের কলাতলীস্থ বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরায় এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্রগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক যথাক্রমে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন, রতন কুমার দাশ ও উপসহকারী পরিচালক মো.শরিফ উদ্দিন।
দুদক সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরে চার শতাধিক আবাসিক হোটেল, দুই শতাধিক রেস্টুরেন্ট ও কয়েক’শ বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কাস্টমসের কতিপয় কর্মকর্তার সাথে যোগসাজস করে দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কক্সবাজারের জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দুর্নীতির সংবাদ প্রচার করা হলে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহ সরকারী উর্ধতন মহলের। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি কক্সবাজার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাঁট কার্যালয়ের ডেপুটি কমিশনার সুশান্ত পাল কে বদলী করা হলেও বহাল তবিয়তে থাকে উক্ত সিন্ডিকেটের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরবর্তীতে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাঁট কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারী) অভিযানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া কর্মকর্তারা জানান, কক্সবাজার হোটেল-মোটেল জোনের বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গুলোতে ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকির প্রমান পাওয়া গেছে। যারা এই ভয়াবহ দুর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি অভিযান পরিচালনা করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফাঁকি দেয়া সমুদয় ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে দুদক। একইসাথে কক্সবাজারে আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্টে ভ্যাট ফাঁকির বিরুদ্ধে এ অভিযান আগামী এক মাস পর্যায়ক্রমে পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য যে বিগত কিছুদিন আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে “মাসিক চুক্তির কারণে সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব” এবং কক্সবাজার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসে কর্মকর্তাদের ঘুষের মহোৎসব চলছে শীর্ষক প্রামাণিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। সিন্ডিকেটের প্রধান ডেপুটি কমিশনার সুশান্ত পাল কে বদলী করা হলেও এখনো বহাল তবিয়তে সিন্ডিকেটের রাজস্ব কর্মকর্তা সব্যসাচী শিকদার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
সচেতন মহল মনে করেন, সরকারের যথাযথ রাজস্ব আদায়ে সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের বদলীপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কক্সবাজার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসে শান্তি শৃঙ্খলা সহ সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে।

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here