পলাশে এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর জমি আত্মসাতের অভিযোগ

0
437

নরসিংদী প্রতিনিধিঃ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকার চামরাবো গ্রামে মৃত: মমতাজ উদ্দিনের কণ্যা হোসনা বেগম নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধী অসহায় নারীর সম্পত্তি আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবন্ধী এই নারীর বড় বোন রেহেনা বেগম জানান, আমরা ১ ভাই, ৭ বোন। পিতৃ সম্পত্তি মোট . ০৭৯ শতাংশ। আমাদের পিতা মৃত তাই সকল সম্পত্তি বড় ভাই মোহাম্মদ আলি দেখা শুনা করতেন। আমরা প্রয়োজনে বাবার সম্পত্তি বারবার চাইলেও সম্পত্তি বুঝিয়ে না দিয়ে কৌশলে দখলে রেখে আমাদের পাওনা সম্পতি থেকে বঞ্চিত করে চলছেন। পরে ২০১৩ সালে স্থানীয় কাউন্সিলার ও গণ্যমান্যদের সহযোগীতায় আমাদের সাত বোনের সম্পত্তি আমার বড় ভাই মোহাম্মদ আলী আমাদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে বাধ্য হোন। আমরা প্রত্যেকে পৌনে আট শতাংশ করে সম্পত্তি পাই। মানসিক প্রতিবন্ধী বোন হোসনা বেগমও পৌনে আট শতাংশ সম্পত্তি পায়। এর এক বছর পর আজীবন ভরনপোষণের লোভ দেখিয়ে হোসনা বেগমের কাছ থেকে মোহাম্মদ আলী, তার পৌনে আট শতাংশ জমি নিজের নামে লিখিয়ে নেয়। পরে মোহাম্মদ আলী ২০১৮ সালে মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী রাশিদা আক্তার শিউলি, কৌশলে প্রতিবন্ধী বোন ও বৃদ্ধ মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বর্তমানে বোন ও মা কে আমি বাড়িতে এনে রাখছি। স্থানীয় মাতাব্বর ব্যাক্তিরা এসব ঘঠনা অবগত আছেন। সম্প্রতি কয়েক মাস পূর্বে আমার মা মারা যাওয়ার পর থেকে ভাইয়ের স্ত্রী শিউলি, আমার বোনের পৌনে আট শতাংশ সম্পত্তি বিক্রি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় কাউন্সিলার মোঃ আব্দুল বাতেন মিয়া বলেন, আমরা বহুবার ঘোড়াশাল পৌরসভা মেয়র সাহেবের নির্দেশে বিষয়টি মিমাংশার করার চেষ্টা করতে গিয়ে আমরা ব্যার্থ হয়েছি।

এলাকাবাসী জানান, মোহাম্মদ আলী বেঁচে থাকতে প্রতিবন্ধী হোসনা ও তার মায়ের বরণ পোষন করেছিলেন। কিন্তুু মোহাম্মদ আলী’র মৃত্যুর পর তার স্ত্রী তাদের বাড়ি থেকে অসহায় প্রতিবন্ধী ও তার বৃদ্ধ মাকে বেড় করে দেন। সম্প্রতি হোসনার মাও মারা গেছে, বর্তমানে একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছেস এই প্রতিবন্ধী নারী। বোনের আশ্রয়েও তার ঠিক ভাবে দিনাতিপাদ হচ্ছেনা। প্রতিবেশীসহ এলেকার সকল মানুষ চান, যেন প্রতিবন্ধী হোসনা তার পৈত্রিক সম্পত্তি যে কোন মুল্যে ফেরৎ পান।

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here