বিএডিসির খাল খননের প্রকল্পে আশায় বুক বাধছে সুবর্ণচর উপজেলাবাসী

0
307

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ “যারা যোগায় ক্ষুদার অন্ন আমরা আছি তাদের জন্য” এ স্লোগানে ধারন করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন সংক্ষেপে (বিএডিসি) কৃষকের কৃষি কাজের প্রতিবন্ধকতা দুরীকরনের নানাবিধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এসকল প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এক দিকে যেমন খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠছে দেশ ঠিক তেমনি কৃষক তার উৎপাদিত শষ্য পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ নূর নবী । নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী এই ০৩ জেলার বিভিন্ন উপজেলার জলাবদ্ধতার নিরসনের পাশাপশি কৃষি ও কৃষকের স্বার্থে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়নের জন্য প্রায় ১ শত ৪৩ কোটি ব্যায়ে একটি প্রকল্প গ্রহন করে । চলমান এই প্রকল্পে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে ১০ কিঃমিঃ খাল পূণরায় খনন করে। আরো ২ কিঃ মিঃ খাল খননের কাজ চলছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিএডিসির এই প্রকল্পের সুবর্ণচর উপজেলার প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জনে সফলতা লাভ করে । যার ফলশ্রুতিতে এই উপজেলার প্রায় ৫ হাজার একর পতিত জমি এই অর্থবছরে চাষাবাদের আওতায় আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের অবৈধ দখল দূষণের শিকার চরজুবলী খাল প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যায়ে উদ্ধার হয়। খালগুলো উদ্ধারের পর হইতে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মাঝে নেমে আশে স্বস্থির নিঃশ্বাস। এর ফলে এই ইউনিয়নে বসবাসকারী প্রায় ২০ হাজার মানুষ তন্মধ্যে ৫ হাজার কৃষক ভরা আমন ও বরো মওসুমে সেচ কাজের জন্য পানি প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি রবি শষ্য উৎপাদনে যেমন- সয়াবিন, তরমুজ, সরিষা পতিত জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় আসবে বলে আশা প্রকাশ করছে স্থানীয় গ্রামবাসী। উদ্ধারকৃত খাল গুলো যথাক্রমে ভূইয়ার (শাখা) পূনঃখনন ২কিলোমিটার শেষ, ১নং স্লুইচ শাখা খাল ১ম অংশ ২ কিলো মিটার সংস্কার, বৈরাগীখাল ২ কিলোমিটার পূনঃখনন ও চরমহি উদ্দিন খাল ২ কিলোমিটার পূনঃখনন কাজ চলমান রয়েছে। এ সকল খালের পানি ভুলুয়া নদী হয়ে মেঘনা নদীতে গিয়ে পড়বে। স্থানীয় তরুণ উদ্যেগতা আল-আমিন বিএডিসির প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে কৃজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই খাল গুলো খননের ফলে এখানকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের পাশাপাশি তথা বন্যা পরস্থিত উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। তবে উপস্থিত স্থানীয়রা দাবী করেন খাল খনন শেষে ভুলুয়া নদী তীরবর্তী স্থানে একটি স্লুইচ গেইট নিমার্ণ করা হলে প্রবাহমান পানিতে লবণাক্তার অবসান ঘটবে। মিঠা পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত হলে এই এলাকার সেচ কাজের পাশাপাশি গৃহস্থালি প্রয়োজন মেটাবে। পরিবেশ বাদী আন্দোলনের নেতা ইমাম হোসেন বলেন, মৃত প্রায় খাল গুলো উদ্ধারের ফলে চরাঞ্চালের রক্ষুতা থেকে বের হয়ে এসে সবুজায়নের পথ সুুগম হবে । বর্তমান সরকারের খাদ্যের সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ধারাবাহিকতা পূরণে এ খাল গুলোর সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here