প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে চোরাচালান বৃদ্ধি পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোর্স পরিচয়ধারীদের সহযোগীতায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত মদসহ এক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ব্যবসায়ির নাম- মুহাদ্দিস আলী (২২)। সে জেলার তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট সীমান্তের খলিশাজুড়ী গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। আজ শুক্রবার (১৯শে ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মাদক ব্যবসায়ি মুহাদ্দিস আলীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়- গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ই ফেব্রুয়ারি) রাত অনুমান সাড়ে ৮টার সময় বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী কামাল মিয়া ও ইসাক মিয়া সহযোগীতায় মাদক ব্যবসায়ী মুহাদ্দিস আলী টেকেরঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমান মদ পাচাঁর করে নিজ বাড়ির বাড়িতে যাওয়ার সময় বড়ছড়া শুল্কস্টেশন এলাকায় আটক করে বিজিবি। পরে মাদক ব্যবসায়ি মুহাদ্দিস আলীর শরীর তল্লাশী করে ৫ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। এরপর রাত অনুমান ১০টায় ওই মাদক ব্যবসায়িকে থানায় সোপর্দ করা হয়। কিন্তু সোর্সদের গ্রেফতারের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানাগেছে।
একই ভাবে প্রতিদিন চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা তেতুলগাছ, লালঘাট ও চারাগাঁও শুল্কস্টেশন এলাকা দিয়ে ভারত থেকে মদ, গাঁজা, চাল ও কয়লা পাঁচার করছে সোর্স পরিচয়ধারী শফিকুল ইসলাম ভৈরব ও রমজান মিয়া। অন্যদিকে বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট ও লাকমা, টেকেরঘাট এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী ইয়াবা কালাম ও লেংড়া বাবুলগং কয়লা, মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও কাঠ পাচাঁর করছে।
আর চাঁনপুর সীমান্তের রজনীলাইন, রাজাই, বারেকটিলা ও লাউড়গড় সীমান্তের যাদুকাটা নদী, পুরান লাউড় ও সাহিদাবাদ এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী নুরু মিয়া,আমিনুল মিয়া,নবীকূল মিয়া,জসিম মিয়াগং গরু, ঘোড়া, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, কয়লা ও পাথর পাচাঁর করছে। সম্প্রতি যাদুকাটা নদী দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাঁচার করা নিয়ে সোর্সদের সাথে বিজিবির সংঘর্ষ হয়। পরে গ্রাম্য সালিশ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। তারপরও চোরাচালান নিয়ন্ত্রণকারী সোর্সদের কখনোই গ্রেফতার করা হয়না।
তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন- বিজিবি হাতে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ি মুহাদ্দিস আলীর বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে