ফরিদপুরে এক মহুরি ও এসআই এর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ

0
560

প্রতিনিধি, ফরিদপুর : গত ২২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ফরিদপুরের পশ্চিম খাবাসপুর, মাওলানা আব্দুল আলী সড়ক এর বাসিন্দা খন্দকার মো: খালেদ।
ফরিদপুর পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগের অনুলিপিতে বলা হয়েছে, বিনীত নিবেদন এই যে,আমি খন্দকার মোঃ খালেদ,পিতা- মৃতঃ মওলানা মোবারক আলী, সাং-পশ্চিম খাবাসপুর,মাওলানা আব্দুল আলী সড়ক,মাওলানা মোবারক আলী মহল, মোসাঃখোদেজা বেগম, হোল্ডিং নং-৩/৭ বাড়ী নং-৩১৩,ওয়ার্ড নং-১৩,থানা-কোতয়ালী, জেলা- ফরিদপুর। আপনার কর্যালয়ে উপস্থিত হইয়া এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, মো: হান্নান খান, পিতা- তোফাজ্জেল হোসেন, সাং-কাউলিকান্দা, থানা-সালথা, জেলা- ফরিদপুর সে আমার মায়ের নিকট হতে নিম্ন তফসীল বর্নিত সম্পত্তি হইতে ০৩ শতাংশ সম্পত্তি আমার মাকে ভুল বুঝাইয়া দানপত্র দলিল করিয়া নেয়, কিন্তু কোন দিন দখলে ছিলো না।
সে ব্যাবসা করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হইলে অনেক টাকার ঋণগ্রস্ত হইয়া পড়িলে আমার মাতা তার নিজ নামের ০৫ শতাংশ সম্পত্তি বিক্রি করে আমার মামা হান্নানের সহিত পরামর্শ করে তার চৌহদ্দি উল্লেখিত সম্পত্তি বিক্রি করে ২০,০০,০০০/-(বিশ লক্ষ) টাকা হান্নানকে দেয় এবং উক্ত দলিলে হান্নান সনাক্তকারী থাকে।
মৌখিকভাবে আমার মায়ের নিকট অঙ্গীকার করে যে সে তার নিজ নামীয় ০৩ শতাংশ সম্পত্তি আমাদের দলিল করে দিবে। কিন্তু হান্নান উক্ত সম্পত্তি আমাদের নামে দলিল না করে দিয়ে বিভিন্ন রকম তালবাহানা করে এবং বিভিন্ন সময়ে সম্পত্তি বিক্রয়ের কথা বলে আমার নিকট থেকে একাধিকবার টাকা গ্রহণ করে।
গত ৩১/০৫/২০০৮ সালে তার স্বাক্ষরিত কাগজের মাধ্যমে ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা গ্রহণ করে ও আমাদের উক্ত সম্পত্তি দলিল না করে দিয়ে ২০২০ সালে মো: নূরুল ইসলাম, পিতা-ফরহাদ বিস্বাস,সাং-রামকান্তপুর,থানা-সালথা,জেলা- ফরিদপুর এর নিকট আবার বিক্রি করেন। উক্ত সম্পত্তিতে আমরা আমি আমার বিধবা মাতা ও স্ত্রী সন্তানাধী নিয়ে বসবাস করা কালীন তারা আমাদের শান্তির ব্যাঘাত ঘটাইয়া গত ২৬/০১/২০২১ ইং তারিখে আনুমানিক বেলা ২.৩০ ঘটিকার সময় এস আই মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অঙ্গাতো নামা ০৩ (তিন) জন কনস্টেবল সাথে মো: নূরুল ইসলাম ও তাহার স্ত্রী হান্নান এর ইন্দোনে আমাদের বসতবাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে আমার পর্দাশীল মাকে যাহার বয়স ৬৫ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
মো: নূরুল ইসলামের স্ত্রী এনিসা আক্তার রুমা আমার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং চলের মুঠি ধরে টানাহেঁচড়ার করে ঘর থেকে বের করে। ঐ দিন পুলিশ বাহিনীর এসআই মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমার বৃদ্ধা মাকে ও আমার স্ত্রী ও আমাকে কোন গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই আদালতের নির্দেষ ব্যাতিত আমার স্ত্রীকে বোরখা পড়ার সুযোগ না দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করিয়াছে।

আমার ৩ ও ৪ বছরের দু’টি শিশু সন্তানকেও আমার সহিত আনতে দেয় নাই। ইহাতে আমার শিশু বাচ্চা দুইটি কাঁদতে কাঁদতে বেহুশ হইয়া তাহাদের মানুষিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্থ্য হইয়াছে। এই ঘটনা জানিয়া আমার বড় ভাই খন্দকার মোঃ গোলাম আজম থানায় আসিয়া আমাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তাকেও আটকিয়ে রাখে। বর্তমান উপরোক্ত ব্যক্তিগন আমাকে খুন জখমের হুমকি ধামকি দিতেছে। তাদের ভয়ে আমি স্বাধীনভাবে চলাফেরা করিতে পারিতেছি না।
মাননীয় পুলিশ সুপারের কাছে বিষয়টি সদয় বিবেচনা পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

 

 

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here