ধামরাইয়ে ধর্ষনের ঘটনায় সালিশ ধর্ষকের জরিমানার ৫লাখ টাকা

0
347

:: ধর্ষিতা পায়নি কানাকড়িও জোর করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ::
প্রতিনিধি,ধামরাই : ঢাকার ধামরাইয়ে ধর্ষনের ঘটনায় গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে ধর্ষকের ৫লাখ টাকা জরিমাননা করা হয়েছে। ধর্ষিতাকে জরিমানার কানকড়িও প্রদান না করেই জোর করে সাদা স্ট্যাস্পে স্বাক্ষর নিয়েছে সালিশকারি ওই মাতাব্বরা । জরিমানার পুরো টাকাই সালিশকারি ওই মাতাব্বররা ভাগবাটোয়ারা করে নেবে বলে ভুক্তভোগি পরিবার ও স্থানীয় লোকজন আশংকা করছেন। বুধবার দিনগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের জেঠাইল গ্রামে এ সালিশি বৈঠকের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধামরাই উপজেলার চৌহাট গ্রামে কিছুদিন আগে ফজিলা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধু চিকিৎসা নিতে গিয়ে আব্দুল সালাম (৪০) নামে এক কবিরাজের লালসার শিকার হন। ওই গৃহবধূকে চিকিৎসা সেবা প্রদানের অজুহাতে ধর্ষিতাকে নিজহাতে সম্পূর্ণ্য বিবস্ত্র করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু ভন্ড ওই কবিরাজের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় অভিযোগ করেন।
এ ধর্ষণের ঘটনায় বুধবার দিনগত রাত ৮ টার দিকে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের জেঠাইল গ্রামের ভ্যানচালক মোঃ আলাউদ্দিেেনর বাড়িতে মিমাংসার জন্য গ্রাম্যসালিশি বৈঠক বসে। জেঠাইল গ্রামের মাতাব্বর মোঃ ওয়ারেজ উদ্দিন, মোঃ আবক্দুল আহাদ মিয়া,মোঃ আব্দুল কাদের মেম্বার মোঃ ওবাইদুল ইসলাম ও মোঃ লবন মিয়ার নেতৃত্বেএ গ্রাম্য সালিশি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে ভুক্তভোগি পরিবার ও স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেন। ধর্ষক ওই কবিরাজ সালামকে এ গ্রাম্যসালিশি বৈঠকে ৫লাখ টাকা জরিমানা করা হয় । জরিমানার কানকড়িও ধর্ষিতা পায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগি পরিবার, কতিপয় সালিশকারি মাতাব্বর ও স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ধর্ষিতা ওই গৃহবধূ জানান,আমাকে জরিমানার ৫লাখ টাকার কানাকড়িও প্রদান করা হয়নি। বরং জোর করে আমার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে সই নিয়েছেন ওই সালিশকারি মাতাব্বররা।
এব্যাপারে সালিশকারি ওই মাতাব্বরগণ বলেন,বিবদমান ওই দু’গ্রুপের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গ্রাম্যসালিশি বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আর জরিমানার ৫লাখ টাকা মাতাব্বর মোঃ উবায়দুল ইসলামের কাছে জমা রাখা হয়েছে। এ জরিানার টাকা টাকা কি করা হবে তা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মাতাব্বর উবায়দুল ইসলাম তার কাছে জরিমানার টাকা জমা রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন আমার কাছে কোন প্রকার টাকা পয়সা জমা রাখা হয়নি। ইহা নিতান্তই আমার বিরুদ্ধে একটি মিত্যাচার মাত্র। জরিমানার টাকার বিষয়ে আমার কোন কিছুই জানা নেই।
এব্যাপারে কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রাসেল মোল্লা বলেন,ধর্ষণের ঘটনায় সালিশি বৈঠকে ধর্ষকের জরিমানার বিষয়ে কেউ আমাদের কাছে কোন অভিযোগ করেননি। ভুক্তভোগি পরিবারের কেউ এব্যাপারে পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ দিলে অবশ্যই তা তদন্ত সাপেক্ষে যথযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আলোকিত প্রতিদিন/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ /এম.জে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here