ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় রশিদপুর সেতুর কাছে এনা এক্সপ্রেস ও লন্ডন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছে আট জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
এ দিন ৪২তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে স্ত্রী ডা. শারমিন অন্তরা খানকে নিয়ে এনা পরিবহনের একটি বাসে ঢাকায় যাচ্ছিলেন সিলেট ওমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রভাষক ডা. ইমরান খান রোমেল। কিন্তু, এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান ডা. ইমরান খান রোমেল (৩৮)। তার স্ত্রী শারমিন অন্তরা খান (২৯) আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ডা. রোমেলসহ ঘটনাস্থলে চার জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও চার জনের মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন আছেন আরও ১৭ জন।
নিহত অন্যরা হলেন- এনা পরিবহনের যাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের নুরুল ইসলাম (৫০), ঢাকার ওয়ারীর নাদিম আহমেদ সাগর (১৯), সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার রহিমা খাতুন (৩০), এনা পরিবহনের চালক সিলেটের ওসমানীনগরের মঞ্জু আলী (৩৮), চালকের সহকারী ও ওসমানীনগর উপজেলার জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০), একই বাসের সুপারভাইজার সালমান খান (৩০) ও লন্ডন এক্সপ্রেস বাসের চালক সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার শাহ কামাল (৪৫)।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপপরিচালক কোবাদ আলী সরকার বলেন, ‘ঘটনাস্থলে বাস দুটির অবস্থান ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে- লন্ডন এক্সপ্রেসের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা বা দিক বদলে ডানদিকে সরে এলে এনা পরিবহনের বাসটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।’
ঘটনার পর প্রায় ঘণ্টাখানেক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এই অংশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। পরে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো ও বাস দুটি সরালে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।