নিজস্ব প্রতিনিধি:
১০ মাসে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ওজন হারিয়েছেন নয় কেজি, ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ, কানে পুঁজ জমে শুনতে সমস্যা হচ্ছে। ঠিকমতো হাঁটতে এবং চিন্তা করে কথা বলতেও সমস্যা হচ্ছে তার। গত বৃহস্পতিবার জামিনে মুক্তি পেয়েই ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন কিশোর। চিকিৎসকরা সেখানে তার শরীর সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। কিশোরের শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে গতকাল শনিবার তার করোনাভাইরাসের টেস্ট করানো হয়েছে।
জানা গেছে, কার্টুনিস্ট কিশোরের চোখ, কান, হাড়জোড়াসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া, ডায়াবেটিসসহ আরও কিছু পরীক্ষার জন্য রক্তের নমুনাও দেওয়া হয়েছে। পাঁচজন চিকিৎসকের একটি দল তাকে পরীক্ষা করেছে। আজ রোববার এসব পরীক্ষার ফল হাতে পাওয়া যাবে বলে কিশোরের পরিবার জানিয়েছে।
কিশোরের ভাই আহসান কবির বলেন, ধরে নেওয়ার পর তার ওপর ‘নির্যাতন’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কিশোর। মুক্তি পাওয়ার পর তার ভেতরে আরও কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে। কিছু জানতে চাইলে বলে আমি স্মরণ করে পরে বলছি। ঠিক ভুলে যাচ্ছে তা বলব না, তবে স্মরণ করতে সময় নিচ্ছে। আপাতত কিশোরের কাছ থেকে মোবাইল ফোন দূরে রাখা হয়েছে।
গত বছরের ৫মে কার্টুনিস্ট কিশোর এবং অনলাইনে লেখালেখিতে সক্রিয় মুশতাক আহমেদকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় র্যাব। পরদিন সরকারবিরোধী প্রচার ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা হয়। একই মামলায় গ্রেপ্তার আরও দুজনের জামিন হলেও কিশোর ও মুশতাকের জামিন হয়নি। এর মধ্যে মুশতাক গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে মারা যান। মুশতাকের মৃত্যুতে তুমুল সমালোচনা শুরু হয় দেশে-বিদেশে। গত বুধবার হাইকোর্ট কিশোরকে ছয় মাসের জন্য জামিন দিলে তার মুক্তির পথ খোলে।
আলোকিত প্রতিদিন /৭ মার্চ-২১/দ.ম.দ