প্রতিনিধি, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাবিলপুর চরে আওয়ামী লীগ নেতা লাল মিয়া হত্যা মামলার আসামি জামিনে বের হয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে নির্যাতিতার শ্বশুর আবুল বাশার চৌধুরী ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার থানায় মামলা করেন। নির্যাতিতার পরিবার সুত্রে জানা যায়,
গত ৯ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ফজলুপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য লাল মিয়াকে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় হাসমত দেওয়ানসহ ২৬ জনকে আসামি করে মামলা করে তার পরিবার। হাসমত সহ আসামিরা উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে গত ৩ মার্চ বুধবার লাল মিয়ার বাড়িতে হামলা চালায় এবং ভাংচুর করে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে জমিতে ভুট্টার পাতা ছিঁড়তে গেলে লাল মিয়ার মেয়েকে আসামি হাসমত দেওয়ানের বোন চায়না বেগমসহ কয়েকজন যুবক মুখ বেঁধে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় একটি ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রেখে যায় তারা।
৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ করার পর ফুলছড়ি থানা পুলিশ নির্যাতিতাকে সন্ধ্যায় উদ্ধার করে। গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. ইমরান হোসাইন বলেন নির্যাতিতার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ বলেন, তারা ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ দিলে ফুলছড়ি থানা থেকে পুলিশ গিয়ে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ মার্চ ২১ /এম.জে