চট্টগ্রাম বন্দর খালাস করেছে রেলের বহরে যুক্ত হতে যাওয়া  যুক্তরাষ্ট্রের ৮ ইঞ্জিন

0
313
শেখ দিদারুল ইসলাম :
বাংলাদেশ রেলওয়েতে একে একে যুক্ত হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা উচ্চগতি সম্পন্ন ৪০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন। প্রথম চালানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যার ৮টি এসে পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। আরও চার ধাপে জাহাজে চড়ে আসবে বাকি ৩২টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন।
শনিবার (৬ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে বন্দরের ১২ নম্বর জেটিতে আনলোড করা হয় এই ৮টি ইঞ্জিন।
মূলত ২০২১ সালে মার্চ থেকে মোট চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করার কথা ছিল এই ৪০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন। যার ধারাবাহিকতায় শনিবার বন্দরে এসে পৌঁছায় প্রথম চালানের মোট ৮টি। এভাবে আরও ৪ দফায় জাহাজে চড়ে আসবে বাকি ৩২টি ব্রডগেজ।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন প্রকল্প (রোলিং স্টক সংগ্রহ)’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে এসব ইঞ্জিন। যার সবক’টি খালাস করার কথা রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। সেই হিসেবে প্রথম চালানটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাহাজীকরণ করা হয়েছে গত জানুয়ারিতে।
শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের পর ‘ডামি’ চাকা লাগিয়ে ইঞ্জিনগুলো নিয়ে প্রাথমিকভাবে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে ঢাকার টঙ্গী স্টেশনে। সেখান থেকে এগুলোর চূড়ান্ত গন্তব্যে হবে পার্বতীপুরের কেন্দ্রীয় লোকোমেটিভ কারখানা (কেলোকা)। যেখানে বাংলাদেশের মিটারগেজ ও ব্রডগেজ ডিজেল লোকোমোটিভ রক্ষণাবেক্ষণ ও ভারী সংস্কারের কাজ করা হয়।
তবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে টঙ্গী পৌঁছানো পর্যন্ত ডামি চাকায় ইঞ্জিনের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটার। পরে মূল চাকা লাগিয়ে ট্রায়ালরান সহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর যার গতিবেগ হবে ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার —এমনটাই আশাবাদ রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের।
বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ঢাকা) সাদেকুর রহমান জানান, ইঞ্চিনগুলো মিটারগেজের বগি দিয়ে এসেছে। পরে টঙ্গী যাওয়ার কথা রয়েছে। টঙ্গীতে এসে ব্রডগেজের চাকা যুক্ত করা হবে। পরে ঢাকা ডিজেল শপে ঢুকে ইঞ্জিনগুলো ‘ফিট টু রান’ করা হবে। এরপরে কেলোকায় আসার কথা রয়েছে ইঞ্জিনগুলো।
এর আগে বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের মার্চের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের এসব ইঞ্জিন বাংলাদেশে রেলের বহরে যুক্ত হবে। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার ১০টি নতুন মিটারগেজ ইঞ্জিন রেলবহরে যুক্ত হয় ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে। তবে সে ইঞ্জিনগুলো নিম্নমানের হওয়ায় তা এখন চালানো হচ্ছে না। কবে নাগাদ সেগুলো চালানো হবে সে সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি রেলওয়ে।
এদিকে লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) সংকটে বহুদিন ধরেই ধুঁকছে রেল। ইঞ্জিনের অভাবে শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন পরিচালনা করতে পারছে না রেলওয়ে। এতে করে চলন্ত অবস্থায় প্রায়শ ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ার ঘটনাও ঘটছে। এছাড়া ইঞ্জিন পুরোনো হওয়ায় নির্ধারিত গতির চেয়ে অধিকাংশ ট্রেন চলছে কম গতিতে। এর ফলে ক্রমাগত শিডিউল বিপর্যয় ঘটায়  দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা।
আলোকিত প্রতিদিন/০৮ মার্চ ২০২১ /এম.জে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here