তাহিরপুরে সেতু থাকলেও নেই সেতুতে উঠানামার সংযোগ সড়ক

0
355

প্রতিনিধি, তাহিরপুর: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের শান্তিপুর নদীর উপর পাকা সেতু থাকলেও নেই সেতুতে ওঠার জন্য নেই কোনও সংযোগ সড়ক। যার ফলে বছরের পর বছর ভোগান্তি পোহাচ্ছে আশপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা ।

স্থানীয়দের সচেতন নাগরিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্ষাকালে নদীতে পানি থাকলেও হেমন্ত কালে নদীর পানি প্রায় শুকিয়ে যায়। হেমন্ত কালে নদী শুকিয়ে গেলে চলাচল করা যায় তবে বর্ষাকালে চলাচল করা প্রায় অসম্ভব। যার ফলে চলাচলে দেখা দেয় দুর্ভোগ। স্থানীয়রা বলছে – সেতু নির্মাণের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সামান্য মাটির কাজ করেনি দুই দিকের অপচ্যের।

জানা যায়, উপজেলার উত্তর বাদল ইউনিয়ন অন্তর্গত বাদাঘাট-চানপুর সড়কে শান্তিপুর নদীর উপর ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট করা হয়নি। আবার নির্মিত হয়নি সেতুতে উঠা নামার সংযোগ সড়কও। তাই নদীর উপর ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে সেতুটি। আসছে না কোনো কাজেও।

তাহিরপুর উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭অর্থবছরে এলজিইডি (সুনামগঞ্জ) হিলি প্রকল্প ৩২ লক্ষাধিক টাকা নির্মাণ ব্যয়ে ব্রিজের দরপত্র আহ্বান করে। নির্মাণকাজের ঠিকাদারি পায় জামালগঞ্জ উপজেলার পারভেজ এন্টারপ্রাইজ।
জানা যায়, উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের বাদাঘাট-চানপুর সড়কটি দিয়ে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর, দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের ৩০ গ্রামের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু এই সড়কের শান্তিপুর নদীতে সেতুতে উঠার জন্য দু’দিকে অ্যাপ্রোচে মাটি নেই। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্প থেকে উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। শান্তিপুর বাজারের উত্তর পাশ হতে ব্রিজ পর্যন্ত সংযোগ সড়ক প্রকল্পে ইউপি সদস্য আবু তাহের মিয়াকে প্রকল্প প্রধান করা হয়। প্রকল্প চেয়ারম্যান আবু তাহের প্রকল্পে শান্তিপুর বাজার হতে কাজ শুরু করে ব্রিজের উত্তর পাশে দুই শতাধিক ফিট দূর পর্যন্ত মাটির কাজ করান। অবশিষ্ট সংযোগ সড়কটি অসম্পূর্ণ রেখে দেয়া হয়। ফলে ২০১৮সালে বর্ষায় সেই মাটিও সরে যায়।
এই ব্যাপারে স্থানীয় মাসুক মিয়া জানান, নির্মাণের পর ব্রিজটি ব্যবহার উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় কোন পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সর্ব সাধারণের জন্য সেতুটি চলাচলের উপযোগী করতে হলে প্রটেকশন ওয়াল দিয়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করতে হবে। আর সেতুর সাথে সংযোগ সড়ক হলে এলাকার অনেক বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হত।

চানপুর গ্রামের বাসিন্দা মজিদ বলেন, সংযোগ সড়কটি স্থাপন করে ব্রিজটি চলাচলের উপযোগী করা হলে আমরা সহজেই চানপুর-বাদাঘাট সড়ক ব্যবহার করে তাহিরপুর সদরে যাতায়াত করতে পারতাম। জনদুর্ভোগ কমে আসত।

তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) ইকবাল করিব জানান, আমি একবারেই নতুন তাই এই সেতুটির বিষয়ে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল জানান, জনদুর্ভোগ লাঘবে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলব।

 

 

আলোকিত প্রতিদিন/ ১০ মার্চ -২১ /এম.জে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here