প্রতিনিধি, গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার এক সময় রাজপথের বাহন হিসাবে ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন ছিল। গ্রাম বাংলার মানুষের যোগাযোগের বহন ঘোড়ার গাড়ি আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন বিলুপ্তির পথে। তবে রাজপথে হারিয়ে গেলেও গাইবান্ধার চরাঞ্চলে দেখা যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ ঘোড়ার গাড়ি। গাইবান্ধার বুক চিরে বয়ে যাওয়া আলাই,মানস,ঘাঘট, করতোয়া,তিস্তা,ব্রক্ষপুত্র ও যমুনাসহ অনেক নদ-নদী। গাইবান্ধা সদও, সুন্দরগঞ্জ,সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলায় এসব নদ-নদীতে জেগে উঠেছে অসংখ্যা বালুচর। এসব চরাঞ্চলে কয়েক লাখ মানুষের বসবাস। চরাবাসীর উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় কিংবা নিত্যপণ্য জিনিসপত্র ক্রয় করতে যেতে হয় নদ-নদী ওপারে-এপারে। বর্ষা মৌসুমে তাদের যানবাহন নৌকা হলেও শুস্ক মৌসুমে এ পথ পাড়ি দিতে হয় ঘোড়ার গাড়িতে। চর এলাকার কৃষি ফসলসহ অন্যান্য মালামার পরিবাহন করতে হয় ঘোড়ার গাড়িতে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর চরের আব্দুল হামিদ বলেন বর্ষা মৌসুমে চলাচলের জন্য একমাত্র মাধ্যম হয় নৌকা। শুকনো মৌসুমে নদীর পানি কমে যাওয়ার কারণে নৌযান প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উৎপাদিত পণ্যসহ বিভিন্ন মালামাল হাট-বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য ঘোড়ার গাড়ি আমাদের একমাত্র ভরসা। জান্নাতুল সুলতানা ও মেহেদী হাসান বলেন ঘোড়ার গাড়িতে করে ঘুড়তে বালাসী ঘাটে এসেছিলাম। ঘোড়ার গাড়িতে বালুচর ঘুরে দেখলাম। এ ভ্রমণ অনেক আনন্দময় ছিল। ঘোড়ার গাড়ির মালিক জসিম উদ্দিন বলেন শুকনো মৌসুমে ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে প্রতিদিন সাড়ে তিনশত থেকে সাড়ে চারশত টাকা পর্যন্ত রোজগার হয়। তা দিয়েই তিনি সংসারের খরচ নির্বাহ করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ মার্চ-২১/ দ.ম.দ