প্রতিনিধি, জামালপুর: জামালপুরে মক্তবের শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় হাফেজ মোঃ সাইফুল ইসলাম (২২) যাবতজীবন কারাদণ্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ (দশ)হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৩(তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দণ্ডিত করে। সোমবার ( ১৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ জামালপুর বিচারক (জেলা জজ) এম আলী আহমেদ এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফেজ মোঃ সাইফুল ইসলাম জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার মোহাম্মদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় এজাহারের উল্লিখিত কন্যা শিশু শিক্ষার্থী মােহাম্মদপুর পুর্বপাড়া উক্ত জামে মসজিদে সকাল বেলায় মক্তবে কায়দা পড়ে। সকাল অনুমান ০৬.৩০ ঘটিকার সময় অন্যান্য ছেলে – মেয়েদের সাথে মসজিদের মক্তবে উক্ত বিবাদীর নিকট কায়দা পড়তে যায় । মক্তবের পড়া শেষে করে বাড়ীতে চলে যায় এবং সকালের খাওয়া দাওয়া শেষ করে।পরে বিবাদী শিশুটির বাড়ীতে আসিয়া বিবাদীর ঘর পরিস্কার করার জন্য শিশুটিকে ডাকিয়া নিয়া যায় । ডাকিয়া নিয়া যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই শিশুটি পায়জামায় রক্তাক্ত অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়ীতে আসে কতিপয় সাক্ষীদের মােকাবেলায় শিশুটি জানায় যে , উক্ত বিবাদী তাহাকে ঘর পরিস্কার কথা বলিয়া ডাকিয়া নিয়া এক হাতে আমার মেয়ের মুখ চাপিয়া ধরিয়া অন্য হাতে আমার মেয়ের পরণের পায়জামা খুলিয়া খাটের উপর শুয়াইয়া শিশু মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করিয়াছে । এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ইসলামপুর থানায় ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর আসামি হাফেজ মোঃসাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। জামালপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবী মোঃআকরাম হোসেন পি.পি জানান, ইসলামপুর থানার শিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী হাফেজ মোঃ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও ১২ জনের সাক্ষ্য শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর দণ্ডবিধি ৯(১) ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ (দশ)হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৩(তিন) মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবী মোঃআব্দুল্লাহ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ মার্চ -২১ /এম.জে