আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামরিক বাহিনীর গুলিতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর আগেও (৩ মার্চ) প্রাণ হারায় ৩৮ জন।
মিয়ানমারে আত্মগোপনে থাকা এনএলডি নেতা মান উয়িন খাইং থান সেনাঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ‘বিপ্লবের’ ডাক দেওয়ার পরদিন বিক্ষোভ-সংঘাতে অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের বিশ্বাস, চীন মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে। যদিও চীন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিক্ষোভকারীদের হামলার আশঙ্কায় ইয়াংগুনে বিভিন্ন চীনা কারখানা এলাকায় সামরিক আইন জারি করা হয়েছে।
এর আগে সেনাবাহিনী ও বেসামরিক সরকারের মধ্যে নির্বাচনে জালিয়াতি নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। এর পরপরই এনএলডির শীর্ষ নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং মন্ত্রিসভার সদস্যসহ প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আটক করে সেনাবাহিনী। পরে সেনাবাহিনী এক ঘোষণায় জানায়, আগামী ১ বছরের জন্য মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকবে তারা। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমে আসে। বড় জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা ও রাত্রিকালীন কারফিউ থাকা সত্ত্বেও তারা বিক্ষোভ দেখায়।
মিয়ানমারে চলমান আন্দোলনে এ পর্যন্ত ৯০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স। একই সময়ে ২ হাজার ১০০র বেশি মানুষকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫ মার্চ -২১ /এম.জে