৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ অনিশ্চিত হওয়ায় হতাশ নোয়াখালীর মানুষ

0
519

প্রতিনিধি,নোয়াখালী:

বৃহত্তর নোয়াখালীর দশ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আঃলীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যেগে নোয়াখালী জননেতা নূরুল হক মিয়া একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। হাসপাতালটি দ্রুত নির্মাণের জন্য একনেকে প্রকল্পটি ছাড় করা হয়। তৎকালীন হাসপাতালটির সম্ভাব্য ব্যায় ধরা হয়েছিল ৬ শত কোটি টাকা। এরেই আলোকে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোঃ নাসিম ২০১৮ সালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্হাপন করেন। হাসপাতালটি বেগমগঞ্জ উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র অর্থাৎ আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ অভ্যন্তরে ২০ একর ভূমির উপর নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। সে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষের দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয় প্রকল্পের কাজ শুরুর নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের ( এলওসি) টাকা ছাড়ে দীর্ঘসূত্রতায় আটকে গেছে এর নির্মাণ প্রকল্প।যাঁর কারণে উদ্ধোধনের বিগত ৩ বছরেও প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করা যায়নি।খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ অর্থায়নে মোটি ৪ টি ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল।আর এ প্রকল্পের মোট ব্যায় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ১ শত ৩৩ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ৭ জুলাই ২০১৮ থেকে ৩০ শে জুন ২০২১ সাল পর্যন্ত। এতে ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ১৪ শত ৪০ কোটি এবং বাংলাদেশের জিওবি ফাণ্ড থেকে ৬ শত ৬৩ কোটি টাকা। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,বাংলাদেশ সরকার ও ভারতীয় অর্থের শর্ত অনুযায়ী শতকরা ৭৫ ভাগ পণ্য অর্থাৎ ইট,বালু,সিমেন্ট এবং এর ভারতীয় ঠিকাদার রাখতে হবে। সিঙ্গেল ডিজিটের আকর্ষণীয় সুদহার থাকার কারণে বাংলাদেশ সরকার তা লুফে নেয়।এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাতে পারা যায় ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) টাকা ছাড়ে ৪ দাফে ভারতীয় সরকারের অনুমোদন লাগে।এ অনুমোদন প্রক্রিয়ার মারপ্যাচে ঝুলে যায় এখান লাখ লাখ মানুষের স্বপ্ন। এদিকে সময়মতো কাজ শুরু করতে না পারায় বেড়েই চলছে এর প্রকল্প নির্মাণ ব্যায়। প্রথম অনুমোদিত ডিপিপিতে বিল্ডিং নির্মাণের খরচ পিডব্লিওডি ১৪ সালের দর অনুযায়ী প্রকল্প ব্যায় নির্ধারন করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পিডব্লিওডি ১৮ সালের নতুন দর নির্ধারন করায় আবারও একদাফ ডিপিপি সংশোধনের জন্য একনেকে পাঠানো হয়। আর ডিপিপি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত এ হাসপাতালের নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা যাচ্ছে না। আবার প্রথম অনুমোদিত ডিপিপিতে সিডি/ভ্যাট খাতে কোন অর্থ বরাদ্দ ছিলনা।তাই এ খাতে আরও প্রায় ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। এছাড়াও রয়েছে হাসপাতাল বিল্ডিং নির্মাণ স্হান হতে জাতীয় গ্রীডের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ও তার সরাতে ৭ কোটি টাকার যোগান দেয়া লাগবে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতোমধ্যে প্রকল্প পরিচালক সংশোধিত ডিপিপি স্বাস্হ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন।আশা নিরাশার দোলাচালে বর্তমান এ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্প। তবে আশাবাদী এখানকার সাংসদ মামুনুর রশীদ কিরণ।তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে মুজিব শতবর্ষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফরে বিষয়টির একটা সুরাহা হবে। এ বিষয়ে মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ আবদুস সালাম বলেন,আমাদের মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তে যেভাবে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে সে ভাবে তিনি যদি হস্তক্ষেপ করেন তাহলে এটিও আলোর মুখ দেখবে। আসন্ন মুজিব শতবর্ষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্য দিয়ে এর ঝট খুলবে বলে মত দেন মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ আবদুস সালাম। নরেন্দ্র মোদির এবারের সফরে জেলার সচেতনমহল আশায় বুক বেঁধেছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ মার্চ-২১/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here