প্রতিনিধি, নোয়াখালী:
নোয়াখালীর সুধারামে দশম পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষিতার মৃতদেহ ফোর্ট মার্টিন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে মাইজদী রেললাইনের পাশে একটি ব্যাচেলর ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত মাদ্রাসা ছাত্রীর স্বজনেরা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি রায়হানকে (১৯) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। সে বেগমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ খানপুর গ্রামের ডা.আবদুল মোতালেবের ছেলে বলে জানা গেছে। মামলার ও নিহতের পরিবারের সুত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী জেলার ১৯নং চরমটুয়া ইউনিয়নের ওদারহাট জেলে বাড়ির বেলাল হোসেনের মেয়ে স্থানীয় শাহদাত মাওলানা মাদ্রাসার ১০ম পড়ুয়া ছাত্রী ধর্ষিতা হাসিনা আক্তার (১৬)। সে সকাল ৯টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে চরমটুয়া ওদারহাট সিএনজি স্টেশনে থেকে উভয় ধর্ষকে জোরপূর্বক সিএনজি করে মাইজদী রেললাইন বসিরের দোকানের পাশে মহুরি বাবুলের ভাড়া ম্যাচে নিয়ে প্রথমে তারা দুজনে দফায় দফায় ধর্ষণ করে।
সকাল ১১টার দিকে ভুক্তভোগী কিশোরী কৌশলে তার বড় বোনকে ফোন করে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। “সে ফোন করে বড়ো নাজমুন নাহারকে বলে আপু আমার সব শেষ হয়ে গেছে, আমারে এখান থেকে নিয়ে যাও। আমি মাইজদীর আশে পাশে আছি। তবে একবারে সঠিক ভাবে বলতে পারবোনা কোথায় আছি, আমি পরে তোদের সব বলব।” এর পরেই ধর্ষকরা ভিকটিম কিশোরীর হাত থেকে ফোন কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দেয়। পরে তাদের বন্ধু অজ্ঞাতনামা আর-ও ৪/৫ জন এসে ভিকটিম হাসিনা আক্তারকে কয়েক ধাপে ধর্ষণ ও অমানুষিক যৌন নির্যাতন চালায়। উপর্যুপরি ধর্ষণের শিকার হলে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী ভিকটিম হাসিনা আক্তার (১৬) অজ্ঞান হয়ে পড়লে শুক্রবার দুপুর ১:৩০ মিনিটের দিকে অভিযুক্ত রায়হান ও আন্যান্য বন্ধুরা ওই কিশোরীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গড়িমসি করতে থাকে। কর্তব্যরত ডাক্তার ধর্ষিতা ভিকটিমকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের চত্বরে কিশোরীর পাশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি রায়হান (১৯)কে নিহতের স্বজনেরা আটক করে নোয়াখালী সুধারাম থানা পুলিশে সোপর্দ করেন।
সুধারাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহেদ উদ্দিন, ধর্ষণের ঘটনায় নিহত কিশোরীর পক্ষে মামলা করার সত্যতা স্বীকার করেন ও প্রধান আসামি রায়হানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।মরদেহ ময়নাতন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে এবং রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২০ মার্চ-২১/ দ ম দ