বাঁশখালী থানা এলাকায় পুলিশের নাম ব্যবহার করে গড়ে উঠেছে রকমারি দালাল চক্র

0
304

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :

চট্টগ্রাম এলাকায় প্রসিদ্ধ এবং ঐতিহ্য সম্বলিত থানা বাঁশখালী,নানান কারণে আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে গুরুত্ব এবং ঝুঁকি পূর্ণ এই এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে মামলা মোকদ্দমা ভয়ের ব্যাপার হলেও অপর একটা চক্র আয়োজন করেছে মামলা মোকদ্দমা নিয়ে রকমারি প্রতারণা জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার নিত্যনতুন পরিপন্থা,যার একটি উদাহরণ হলো বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের অফিসারদের নাম ভাংগিয়ে সহজ সরল মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়া,আমাদের  প্রতিবেদকের মতে থানা,হাইওয়ে এবং ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে(কেসিয়ার) পরিচয় বা উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার এর নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের কাছে মামলা মোকদ্দমা করে দেওয়া বা নিষ্পত্তি করার নামে নানান উপায়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে আসছে।বিগত ২৩ই মার্চ এমনি একটা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলে বিস্তারিত জানার লক্ষ্যে ভুক্তভোগী এবং ট্রাফিক পুলিশের মুখোমুখি হয়ে জানা যায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের র্আদেশক্রমে ট্রাফিক পুলিশের মামলার যাবতীয় লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়ে থাকে যার কারণে ট্রাফিক পুলিশের মামলার নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনপ্রকার লেনদেন অফিস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা করার সুযোগ নেই।

এই বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা ট্রাফিক পুলিশের টি আই প্রসিকিউটর জনাব শাহ মোঃ আরিফুর রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী জেলা ট্রাফিক পুলিশের মামলার নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনপ্রকার লেনদেন অফিস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা করতে পারেন না বইকি করার উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া গেলে মারাত্মক বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে বলে জোর দেন। উল্লেখ্য বিষয় বাঁশখালী থানা এলাকায় জেলা ট্রাফিক পুলিশের অভিযানে একটা অনিবন্ধিত সিএনজি অটোরিকশা জব্দের পরবর্তী জরিমানা প্রদান পরবর্তী প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে জব্দকৃত সিএনজি অটোরিকশার রেজিষ্ট্রেশন ফী চট্টগ্রাম বিআরটিএ বরাবর জমাদানের প্রমাণপত্র অর্থাৎ রেজিষ্ট্রেশন এর টাকা জমা রশিদ এর একটি কপি এবং যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে জব্দের নিষ্পত্তি করা হয়ে বলে জানান। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার বিভিন্ন অনিয়মিত বিষয় নিয়ে উল্লেখিত সিএনজি অটোরিকশার মালিক পক্ষের কাছে মামলা নিষ্পত্তির কথা বলে উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার এর নাম ব্যবহার করে মোঃ আব্বাস নামের একব্যক্তি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়।এই আব্বাস কখনো সাংবাদিক,কখনো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতার আত্নীয়,অথবা উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসার বা থানার ক্যাশিয়ার বলে নিজেকে পরিচয় দেয়। উল্ল্যেখিত বিষয় নিয়ে জেলা ট্রাফিক পুলিশের টি আই প্রসিকিউটরের বক্তব্য জানতে চাইলে উনি সংশ্লিষ্টদের নাম দিয়ে সহায়তা করার আহবান জানান এবং তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ভুক্তভোগী সিএনজি অটোরিকশা চালককে অর্থ সহায়তা প্রদান করে বলেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ ডিআইজি মহোদয়ের উদ্যোগে একটি জনবান্ধব সেবা সংস্থা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে যার ফলে পুলিশের সেবা প্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন অচিরেই চট্টগ্রামের নাগরিকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে।

আলোকিত প্রতিদিন

২৯/০৩/২০২১ / সাগর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here