প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা :
বছরের ‘সুপার মুন’ পূর্ণিমার টানে নদীর জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে গেছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা সদরের দয়ারঘাট রিং বাঁধের পাঁচটি পয়েন্ট। এছাড়া একই জেলেখালি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে সুপার মুন পূর্ণিমার প্রবল টানে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রিংবাঁধ ভেঙে জেলেখালি দয়ার ঘাটের সমগ্র এলাকা প্লাবিত হয়। দুই গ্রামের ৩৫০ ঘর মানুষ প্লাবিত হয়। ১৫০০ মানুষ তাৎক্ষণিক পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে শতাধিক মৎস্য ঘের ও পুকুর। বানভাসি মানুষের প্রয়োজনীয় খাবার ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়য়েছেন আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে মূল বাঁধের কাজ শুরুর আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন খাঁন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি শাহিন সুলতানা, থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবির। আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন জানান, ভেঙে যাওয়া পাঁচটি পয়েন্ট রিংবাঁধের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গাবাটি বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা স্বেচ্ছায় ফাটল মেরামতের কাজ করছে। তবে এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ মার্চ-২১/ দ ম দ