প্রতিনিধি, কক্সবাজার:
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ এবং চকরিয়া প্রশাসন যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধ ৫০ টি বসতঘর গুড়িয়ে ৫ একর সরকারি বনভূমি জবরদখল মুক্ত করা হয়েছে । কক্সবাজার উত্তর বনিভাগের আওতাধীন ফুলছড়ি বনবিটের জুমনগর এলাকায় সামাজিক বনায়ন অবৈধভাবে দখল করায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে । সোমবার (২৯ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে ২ টা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে মধুশিয়া এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত একটি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়।
চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ তানভীর হোসেন এবং কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন-সংরক্ষক (এসিএফ) সোহেল রানার নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানে ফাঁসিয়াখালী ও ফুলছড়ি রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মাজহারুল ইসলাম, স্পেশাল টিমের ওসি একেএম আতা এলাহী, চকরিয়া থানার একদল পুলিশ এবং বন বিভাগের স্টাফরা উপস্থিত ছিলেন। কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন-সংরক্ষক (এসিএফ) সোহেল রানা জানান, ২০১৭-১৮ সালে সৃজিত ২য় আবর্তের ১০ হেক্টর সামাজিক বনায়ন জবর দখল করে একটি চক্র। বেশ কিছু জমি প্লট আকারে বিক্রিও করেছে তারা। অভিযুক্ত দখলবাজদের মধ্যে রয়েছে- এহেছান, নুরুল আবছার, কামরুল হাসান পলাশ, আবছার কামাল শাহীন, দেলোয়ার হোসেন মনি, রেজাউল করিম। দখলবাজ সিন্ডিকেটে আরো বেশ কিছু রাজনৈতিক প্রভাবশালী লোক জড়িত। তারা পরস্পর মিলেমিশে সরকারি বনায়ন দখল করে বনভূমি জবরদখল করে আসছিলো। তিনি আরো জানান, যতবড় প্রভাবশালী ব্যক্তি হোক না কেন সরকারি বনভূমি জবরদখল করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে বনবিভাগকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি। সূত্র জানায়, বনবিভাগের জায়গা দখল করে ভোগ করে আসছিলো একটি চক্র। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে টনক নড়ে বনবিভাগ এবং প্রশাসনের। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে সমাজিক বনায়ন জবরদখল মুক্ত করে ৫০ টি বসতঘর গুড়িয়ে ৫ একর বনভূমি উদ্ধার করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ মার্চ-২১/ দ ম দ