প্রতিনিধি, নোয়াখালী:
আসন্ন প্রথম ধাপের স্হানীয় সরকার পরিষদ তথা ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারণায় ভোটের মাঠে উত্তাপ ছড়ায়। নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার ৪ নং চরওয়াপদার ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর হতে ভোটারদের আস্হা অর্জনে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তারুণ্যের অহংকার আবদুল মান্নান ভুঁইয়া। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রার্থীদের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এবার নৌকা প্রতীক বরাদ্দ প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন “গ্রাম হবে শহর ” প্রকল্প বাস্তবায়নের নিমিত্তে তৃণমূল পর্যায়ে একঝাঁক তরুণ ও স্বপ্নবাজ এবং সৎ প্রার্থীদের নৌকা প্রতীক তুলে দেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াই করা আবদুল মান্নান ভুঁইয়া এর ব্যতিক্রম নন। সম্প্রতি এ প্রতিবেদক সরেজমিনে নির্বাচনপর হালচাল দেখে প্রতিবেদনটি তৈরী করেছেন।
কে এই আবদুল মান্নান ভুঁইয়া? তাঁর জীবন বৃত্তান্ত থেকে জানা যায়, এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে পিতা সাকায়েত উল্ল্যাহ ভ্ুঁইয়া মাতা ছালেহা বেগমের গর্ভে চরওয়াপদা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে জন্ম গ্রহণ করেন। আওয়ামী পরিবারে বেড়ে ওঠা আবদুল মান্নান আপাদমস্তক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুসারী। স্কুলের ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি মধ্যে দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু।ছাত্রাবস্থায় বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ছাত্রলীগের সুবর্ণচর উপজেলার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপরে যুবলীগ হয়ে বর্তমানে আওয়ামীলীগের সুবর্ণচর উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।তরুণ প্রজন্মের আইকনিক নেতা হিসাবে দলে এবং জনগণের পর্যায়ে কাজ দিয়ে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।অত্যান্ত সাদামাটা জীবন যাপনে অভ্যস্ত আবদুল মান্নান ভুঁইয়া। নৌকা প্রতীক বরাদ্দের পর হতে অত্যান্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন।জনগণকে দিচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজগুলো তুলে ধরে নৌকা মার্কায় ভোট চাইছেন। আলাপচারিতায় এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তাঁর স্বপ্নের কথাগুলো। তিনি নির্বাচিত হলে তাঁর এলাকার তরুণদের মাদকের ভয়াল আগ্রাসন হতে রক্ষা করবেন। মাদক ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।তাঁর এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে দখলদারদের কবল হতে খাল পুনরুদ্ধার করবেন। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের পাশাপাশি মাতৃত্ব সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২৪ ঘন্টা চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। সামাজিক অনাচার ও জনগণের বিচার লাভের লক্ষ্যে গ্রাম্য আদালত আরো সক্রিয় করে এর সুফল তিনি জনগণের দৌঁড়গোড়ায় পৌঁছে দিবেন। তার এলাকার রাস্তা-ঘাট উন্নয়নে উদ্যেগ গ্রহন করবেন। সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা যেমন মাতৃত্ব ভাতা,বয়স্ক ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করে প্রকৃত ভাতাভোগীদের প্রদান করবেন। এলাকার মানুষের নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্হা নেবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত গ্রাম হবে শহর প্রকল্পে জন্য নিজেকে উগরে দিয়ে শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করবেন বলে জানান।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩১ মার্চ-২১/ দ ম দ