বিয়ের দিনই বধূর লাশ

0
408

প্রতিনিধি, মাগুরা:

মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার দাইরপোল গ্রামের মোছাঃ মেঘনা খাতুন নামে (১৮ ) নববধূর ঝুলন্ত লাশ শ্বশুর বাড়ির পাশে আম গাছে। ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।

মোছা: মেঘনা খাতুন দাইরপোল গ্রামের ফজলুর রহমানের এর ছোট মেয়ে জানা যায়, জানা যায় যে গত ০৭-০৪-২০২১ ইং তারিখ বুধবার দরিবিলা গ্রামের চঞ্চল শিকদারের ছেলে আরাফাত হোসেন সাব্বির বাসা থেকে দুজন পালিয়ে ২০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিবাহ করে একই গ্রামের ফজলুর রহমান এর মেয়ে মোছা: মেঘনা খাতুনকে বিবাহ করে। তাদের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলে জানান পরিবারের লোকজন। বিয়ের খবর পারিবারিক ভাবে জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়। গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করা হচ্ছিলো। ১১ তারিখ ছেলে পক্ষের লোকজন নিয়ে তাদের সামাজিক ভাবে বিবাহ দেওয়া হয়। বিবাহ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর ৪৫ মিনিট পরই নববধূর লাশ বাড়ির আঙ্গিনায় থাকা আম গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন। শ্রীপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় আনা হয়। এ বিষয়ে নিহত নববধূর পিতা ফজলুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, এই ঘটনা গত ৭ তারিখের আমার মেয়েকে চঞ্চল শিকদারের ছেলে সাব্বির শিকদার নিয়ে যায় এবং নিয়ে গিয়ে আমার মেয়ের সাথে অবৈধ কাজ কাম করে আমার বাড়িতে রিটার্ন দিতে যায়। আমি তখন প্রশাসনসহ তার বাড়িতে রিটার্ন দিই, পরের দিন রাত্রে বাড়ি রেখে পরের দিন বেলা ১০ টায় মাগুরা পাবলিক লটারিতে ২০ হাজার টাকা কাবিন করে ওরা পাবলিক লটারি মধ্যে বিবাহ করে নিয়ে আসে। পরে আবার ছেলে পক্ষ সামাজিকভাবে বিবাহ দেয়া হয়। বিবাহের ৪৫ মিনিট পরেই চিল্লাচিল্লি শুনে আমরা গিয়ে দেখি, মেয়ে যখন গাছে ঝুলে ছিলো তখন ছেলের বাবা, ছেলের মা, আর ছেলে আমার মেয়ের পা ধরে ঝুলে টানাটানি করছে। প্রশাসন যাওয়ার আগেই তারা লাশ নামিয়ে মাথায় পানি ঢালাঢালি করে।

আমি এই মর্মে আমি সরকারের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই। যেন আমার মত আর কোন বাবার মেয়েকে এই রকম নিষ্ঠুর হত্যারে শিকার না হতে হয়। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ইনচার্জ সুকদেব রায় জানান, গতরাতে শ্রীপুর থানার ৩নং শ্রীকোল ইউনিয়নের দাইরপোল গ্রামের মোছা: মেঘনা খাতুন কে একই গ্রামের আরাফাত রহমান সাব্বিরের সাথে বিবাহ হয়। এর পরই মেয়েটির লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এটি আত্মহত্যা বা পরিকল্পিত খুন কিনা সেটি জানার জন্য লাশটি ময়নাতদন্তে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আসল ঘটনা সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলের বাবা চঞ্চল শিকদার,আরাফাত হোসেন সাব্বির ও ছেলের মা কে থানায় আনা হয়েছে ।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১১ এপ্রিল, ২০২১/ দ ম দ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here