প্রতিনিধি, পটুয়াখালী:
সারাদেশের ন্যায় কোভিড ১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ২য় ধাপ মোকাবেলায় পটুয়াখালীতেও চলছে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের লকডাউন। এদিকে লকডাউনের চতুর্থ দিনেও পটুয়াখালীতে মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন কাঁচা বাজার ও মাছ বাজার গুলোতে মানুষ মাস্ক তো পড়ছেই না সেই সাথে সামাজিক দুরত্বও বজায় রাখছে না কেউ। সরজমিনে দেখা যায় পটুয়াখালী শহরের নিউ মার্কেটের কাঁচা বাজার এলাকা, চৌরাস্তা, পটুয়াখালী ব্রিজ এলাকা, হেতালিয়া বাঁধঘাট, ২নং বাঁধঘাট, ২নং ব্রিজ এলাকা, পায়রাকুঞ্জ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় কারনে অকারনে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বের হচ্ছে মানুষ। এছাড়াও আন্তঃ জেলার যাত্রীবাহি কোন বাস না চললেও সড়কগুলোতে চলছে অটো, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল। আর এসব যানবাহন চলাচলে মানা হচ্ছে না কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি।
এছাড়া নিজ গন্তব্যে যেতে হলে দিতে হচ্ছে দিগুন ভাড়া বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। নজরুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, উপজেলার আউলিয়াপুর থেকে ২নং বাঁধঘাট সচারাচর ভাড়া ২০ টাকা কিন্তুু আজ সেখানে অটো চালককে ভাড়া দিতে হয়েছে ৪০ টাকা। সাইফুল নামে আরেক যাত্রী বলেন, শহরের ঈদগাহ ময়দান থেকে হেতালিয়া বাঁধঘাট আসতে রিক্সা চালককে ভাড়া দিতে হয়েছে ৬০ টাকা, যা আগে ভাড়া ছিলো ৩০ টাকা। খোকন নামে এক অটো চালক বলেন, রাস্তায় লোকজন কম তাই ভাড়া একটু বেশি রাখতে হচ্ছে। লকডাউনের মধ্যে গাড়ি চালাচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, পরিবারে মা বাবা আছে তাদের মুখে খাবার না দিতে পারলে এমনিতেই মারা যাবো। সরকার যদি আমাদের সাহায্য করত তবে এখন গাড়ি নিয়ে রাস্তায় আসা লাগল না।
এদিকে পটুয়াখালীতে সরকারী, বেসরকারী ও ব্যক্তি পর্যায় থেকে কোন সহায়তা না থাকায় চলমান লকডাউনে বেকার খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষগুলো পরিবার নিয়ে রয়েছে নিদারুণ কষ্টে। পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মুকিত হাসান খাঁন বলেন, সরকারের দেয়া ৭ দিনের লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ সর্বদা মাঠে কাজ করছে। সবাইকে স্ব্যাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ ও অযথা কেউ রাস্তায় বের হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারী দেন তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন / ১৭ এপ্রিল, ২০২১ / দ ম দ