প্রতিনিধি, খুলনা:
খুলনা যশোর মহাসড়কের আফিলগেট বাইপাস থেকে শুরু করে বাদামতলা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে ১৫/২০টি মড়ক লাগা মরা বৃক্ষ বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে। এ সকল বৃক্ষ গুলি দীর্ঘদিন যাবত মরে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ঝড় বতাস বা কালবৈশাখী জড়ে উপড়ে অথথা ভেঙ্গে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতিসহ প্রাণহানীর আশংকা করছে স্থানীয়রা।
সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে, খুলনা যশোর মহাসড়কের আফিলগেট বাইপাস, আফিলগেট বাজার, মাত্তমডাঙ্গা ডাক্তারবাড়ী, জাহানাবাদ সেনানিবাস সংলগ্ন, শিরোমণি বাজার তুলাপট্টি, বাদামতলা মোড়ল প্যালেচ সংলগ্নে সড়কের পাশে সড়ক ও জনপদ বিভাগের আওতাধিন মেহেগুনী, শিরিস সহ বিভিন্ন প্রজাতির ১৫/২০টি বৃক্ষ মড়ক লেগে মরে শুকিয়ে গেছে। এ সকল গাছ গুলি সরকারি সম্পদ হওয়ায় ব্যক্তি উদ্যোগে কেহ কেটে নিতে পারছেনা। অপর দিকে বনবিভাগ গাছ গুলি সড়ক ও জনপদ বিভাগের সম্পাদ হওয়ায় তারাও দেখেও কিছু করতে পারছেনা। ঝুকিপুর্ণ বিপদজনক এ সকল বৃক্ষ অপসারণে কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় বৈশাখ মাসের কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ গুলি উপড়ে কিংবা ভেঙ্গে পথচারী-যানবাহনের উপর পড়লে প্রাণহাণীর আংশকা রয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু গাছ এবং গাছের ডাল সড়কের উপর ঝুকে যাওয়ায় ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় মহিদুল ইসলাম জানান, অনেক দিন যাবত এ গাছ গুলি মরা অবস্থায় পড়ে আছে কেহ দেখার নাই। বেশ কিছু দিন আগে সামান্য ঝড়ে মরা একটি গাছ ভেঙ্গে বিদ্যুতের লাইনে উপর পড়ে বিদ্যুতের লাইনের ক্ষতি এবং দু’জন আহত হয়েছিল। জরুরী ভিত্তিতে গাছ গুলি কেটে না ফেললে ঝড়ের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি সহ হতাহতের মতো ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।
বনবিভাগ ফুলতলা উপজেলা রেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রজব আলী মোল্যা বলেন প্রাকৃতিক অথবা মড়ক জনিত কারণে গাছ গুলি মরে যেতে পারে । যেহেতু গাছ গুলি সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্ববধনে দেখভালের দায়িত্ব তাদের। এ সকল মরা গাছের সমাধান ঐ বিভাগ দিতে পারবে। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জি. আনিছুজ্জামান মাসুদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই, আপনার কাছে শুনলাম। বনবিভাগের একটি শাখা এ গুলো দেখাশোনা করে। এ বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করে দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন / ১৯ এপ্রিল, ২০২১ / দ ম দ